নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে চিতা আনার জের, এই প্রথম হাতির দাঁতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিপক্ষে নীরব ভারত

CITES-এর সভা সহ আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন করে প্রচার করার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। বতসোয়ানা, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের সরকারের মজুদ করা হাতির দাঁতের বাণিজ্যিক বিক্রয়ের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করে।

এই প্রথমবার হাতির দাঁতের বাণিজ্যিক বিক্রির দাবিতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকল ভারত। হাতির দাঁতের বাণিজ্যের কড়া বিরোধী ছিল নয়াদিল্লি। কয়েক দশকের সেই অবস্থান থেকে সরে এসে প্রথমবারের মতো ভোট না দিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিল ভারত। এর নেপথ্যে কারণ হিসেব বিরোধীরা অবশ্য অন্য গল্প খুঁজছে। তাদের দাবি আটটি চিতা হস্তান্তরের সুবিধার্থে নামিবিয়ার সাথে একটি সমঝোতা চুক্তির সন্দেহকে শক্তিশালী করে।

জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির মতে নামিবিয়া এবং ভারতের মধ্যে চিতা স্থানান্তরের চুক্তিতে CITES-এর সভা সহ আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন করে প্রচার করার প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। পানামার বৈঠকে, জিম্বাবুয়ে বতসোয়ানা, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের সরকারের মজুদ করা হাতির দাঁতের বাণিজ্যিক বিক্রয়ের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করে। জুলাই মাসে দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তাতে বলা হয়, জীববৈচিত্রের স্থিতিশীল ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা (সাসটেনেবল ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব বায়োডাইভার্সিটি) সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে পরস্পরকে সাহায্য করবে দুই দেশ।

Latest Videos

যদিও ১৮ নভেম্বর প্রস্তাবটি খারিজ হয়ে যায়। ভারতের বিরত থাকার সিদ্ধান্তটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ নামিবিয়া বলেছিল যে তারা সেই দেশ থেকে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে চিতা স্থানান্তরের বিনিময়ে হাতির দাঁতের ব্যবসার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে নয়া দিল্লির সহযোগিতা চেয়েছিল। জানা গিয়েছে, পানামা সিটিতে কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এনডেঞ্জার্ড স্পিসিজ় অব ওয়াইল্ড ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা (সিআইটিইস)-এর ১৯তম বৈঠকে এই প্রস্তাব তোলা হয়েছিল যে নামিবিয়া, বতসোয়ানা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জ়িম্বাবোয়ে থেকে নিয়ন্ত্রিত হাতির দাঁতের বাণিজ্য শুরু হোক। তবে ৮৩-১৫ ভোটে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটিতে চুপ ছিল ভারত। প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে সিআইটিইসে যোগ দেয় ভারত।

শনিবার এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেস্ট চন্দ্রপ্রকাশ গয়াল বলেন এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে প্রস্তাবটি খারিজ হয়েছে তা ভাল খবর।

নামিবিয়া থেকে আটটি আফ্রিকান চিতাকে একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের অংশ হিসাবে ১৭ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের পার্কে আনা হয়েছিল। ভারত এশিয়াটিক চিতার আবাসস্থল ছিল, যা ট্রফি শিকার এবং বাসস্থানের ক্ষতির কারণে ১৯৫০ এর দশকের গোড়ার দিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।

যদিও চুক্তিতে হাতির দাঁতের কথা উল্লেখ করা হয়নি, নামিবিয়ার পরিবেশ, বন ও পর্যটন মন্ত্রকের একজন প্রতিনিধি গত মাসে সংবাদপত্রকে বলেছিলেন যে দেশটি "চুক্তির বিধান অনুসারে এই বিষয়ে আমাদের সমর্থন করার জন্য ভারতের সাথে যোগাযোগ করেছে"। ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক (MoEFCC) এই দাবিটিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেনি, শুধুমাত্র এই বলে যে এটি হাতির দাঁতের ব্যবসার উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে নামিবিয়ার কাছ থেকে "কোন লিখিত যোগাযোগ" পায়নি।

আরও পড়ুন

মোদীর জন্মদিনে সুদূর নামিবিয়া থেকে মধ্যপ্রদেশ, কোয়ারেন্টাইন শেষে কুনো-র জঙ্গলে মুক্তি পেল ২ আফ্রিকান চিতা

নামিবিয়া থেকে আনা ৮ টি চিতার মধ্যে একটি গর্ভবতী ,দশেরাতে ভারতকে দেওয়া নামিবিয়ার দারুন উপহার

Share this article
click me!

Latest Videos

'মাননীয়া আপনার শাড়িতে দুর্নীতির কালো ছোপ ছোপ দাগ' মমতাকে (Mamata) এ কী বললেন অগ্নিমিত্রা ?
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
আজ রাজ্যে উপনির্বাচনের (By Election) রেজাল্ট আউট, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগণনা (Vote Counting)
PM Modi Live : প্রধানমন্ত্রী মোদীর বড় ঘোষণা! সরাসরি দেখুন
ছয় Bidhan Sabha কেন্দ্রের ছটিতেই এগিয়ে TMC, আবির খেলায় মাতলেন গঙ্গাসাগরের তৃণমূল কর্মীসমর্থকরা