সংক্ষিপ্ত
দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা জি-২০র লোগো নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন।
কেন্দ্রীয় সরকার G-20 লোগোতে পদ্ম ছাড়া অন্য যে কোনও প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি জি-২০ বৈঠকে তিনি তুলবেন না। কিন্তু অন্য যেকোনও রাজনৈতিক দল এই বিষয়টি তুবতে পারে। মমতা বলেন, জি-২০ লোগোতে পদ্মের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক কোনও সমস্যা নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি বাইরে আলোচনা করতে চান না। কিন্তু এটি যে দেশের জন্য শুভ নয় তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্ম একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক। তাই কেন্দ্রীয় সরকার প্রতীক হিসেবে অন্য যেকোনও প্রতীক বেছে নিতে পারত। কারণ পদ্ম একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি আরও বলেন 'পদ্ম আমাদের জাতীয় প্রতীক। এটি ছাড়াও বাঘ ও ময়ূর রয়েছে জাতীয় প্রতীক। সেগুলি ব্যবহার করতে পার। আমি কিছু বলছি না। কারণ এজাতীয় খবর বাইরে প্রকাশ পেলে দেশের সমস্যা হতে পারে। এটি কোনও ইস্যু নন - এমনটা নয়। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। '
কংগ্রেসের অভিযোগ জনতা পার্টির প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার জি-২০র লোগোতে পদ্মফুলের ব্যবহার করেছে। যদিও পাল্টা হিসেবে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ফুলটি দেশের সংস্কৃতির পরিচয়ের অংশ।
আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবে ভারত। সেই উপলক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানান হয়েছে, জি-২০টির প্রস্তুতি নিয়ে গোটা দেশে প্রায় ২০০টি বৈঠক হবে। প্রথম ধাপে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রশাসকদের নিয়ে এজাতীয় বৈঠক হবে। জি-২০ বৈঠক যাতে সফল হয় তারজন্য রীতিমত তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার।
এই বৈঠকে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজস্থানের আজমেড় শরিফ ও পুস্কর যাবেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন, একটি প্রকল্প পাশ করেছিলেন। সেটির জন্য পুরো অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন। আর সেখানের কয়েকজন ব্যক্তিগতভাবে তাঁর অফিসে এসে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গেছেন। আর সেই কারণে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে অংশ নিয়ে সেখানে যাবেন। সোমবার রাতে তিনি দিল্লি ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রের খবর বুধবার তিনি দিল্লিতে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। তারপরই তিনি কলকাতায় ফিরবেন।
আরও পড়ুনঃ
গুজরাটে দ্বিতীয় দফার ভোটেও মোদী-করিশ্মা অব্যাহত, দেখুন প্রধানমন্ত্রীর ছবিগুলি