
PM Modi visits Adampur Air Base: মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জলন্ধরের আদমপুর বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেন এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কয়েকদিন পর বিমানবাহিনীর সেনাদের সঙ্গে কথোপকথন করেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ঘাঁটিতে বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা ব্রিফিং করেন।
এক্স-এ একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন “আজ সকালে, আমি আদমপুর বিমান ঘাঁটিতে গিয়েছিলাম এবং আমাদের সাহসী বিমান সেনা এবং সৈনিকদের সঙ্গে দেখা করেছি। যারা সাহস, দৃঢ়তা এবং নির্ভীকতার প্রতীক তাদের সঙ্গে থাকা খুবই বিশেষ অভিজ্ঞতা ছিল। আমাদের জাতির জন্য তারা যা কিছু করে তার জন্য ভারত চিরকাল কৃতজ্ঞ”।
অপারেশন সিঁদুরের সময় আদমপুর ঘাঁটি ছিল সক্রিয় বিমান ঘাঁটিগুলির মধ্যে একটি। সোমবার, ডিজি এয়ার অপারেশনস এয়ার মার্শাল এ কে ভারতী বলেছেন যে অপারেশন সিঁদুরের উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গিদের লক্ষ্য করা, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বা পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত হওয়া নয়।
একটি সংবাদ সম্মেলনে এয়ার মার্শাল ভারতী বলেছেন, “আমাদের লড়াই জঙ্গিদের সঙ্গে, আমাদের লড়াই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বা পাকিস্তানি বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে নয়, তাই এটি খুবই স্পষ্ট। আমরা আমাদের লক্ষ্যবস্তুতে খুবই স্পষ্ট।” এয়ার মার্শাল জোর দিয়ে বলেছেন যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিঁদুরের সময় সুনির্দিষ্ট আক্রমণের মাধ্যমে তাদের কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে।
“আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষিত বিমান প্রতিরক্ষা অপারেটররা সম্পূর্ণরূপে সক্ষম, এবং আমাদের দেশীয় সক্ষমতা তার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে কোন ধরনের প্রযুক্তিই আবির্ভূত হোক না কেন, আমরা প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত। অতিরিক্ত কথার প্রয়োজন নেই, আপনারা নিজের চোখে দেখেছেন আমরা কী পরিণতি দিয়েছি,” তিনি বলেছেন।
সোমবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে বাহিনীকে জঙ্গিদের নির্মূল করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “প্রতিটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এখন জানে 'কি আমারি বেহানো, বেটিয়োঁ কে মাথে সে সিঁদুর হাটানে কা আঞ্জাম কেয়া হোতা হ্যায়।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, সীমান্ত রক্ষীবাহিনী এবং ভারতের আধাসামরিক বাহিনী সর্বদা সতর্ক । তিনি বলেন “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং বিমান হামলার পর, এখন অপারেশন সিঁদুর হল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নীতি। অপারেশন সিঁদুর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে একটি নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে এবং একটি নতুন প্যারামিটার এবং নতুন ধারা স্থাপন করেছে,” তিনি বলেছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া একটি ঘাতক হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালাতে অপারেশন সিঁদুর ৭ মে শুরু হয়েছিল। জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছিলেন।
১০০ জনের ও বেশি জঙ্গিকে নির্মূল করার সঙ্গে সঙ্গে, এই হামলা পাকিস্তানের ভিতরে ১১ টি বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ছিল এবং তাদের সামরিক ক্ষমতার উপর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করেছিল। বেসামরিক জীবনহানি কমানোর উপর জোর দিয়ে সংযত ভাবে বিমান, স্থল এবং সমুদ্র অভিযান চালানো হয়েছিল।