সংক্ষিপ্ত
হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ২-১৮ বছর বসয়ীদের ওপর কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফেজ ২ ও ফেজ ৩র সম্পন্ন করেছে।
উৎসবের মরশুমেই এল সুখবর। কোভিড ১৯ (Covid 19) বিষয় বিশেষজ্ঞ কমিটি ২-১৮ বছর বয়সীদের শিশুদের (Kids) জন্য ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি কোভ্যাক্সিনকে (Covaxin) জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক সম্প্রতি শিশুদের ওপর করোনাভাইরাসের টিকার ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে অগাস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকার জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) জাইকভ ডিকে (ZyCoV- D) শিশুদের ওপর জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার করার অনুমোদন দিয়েছিল। এই টিকা অবশ্য ১২-১৮ বছর বসয়ীদের ওপরই প্রযোজ্য।
হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ২-১৮ বছর বসয়ীদের ওপর কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফেজ ২ ও ফেজ ৩র সম্পন্ন করেছে।চলতি মাসের শুরুতেই ড্রাগস কন্ট্রোল জেলারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) কাছে ট্রায়াল ডেটা জমা দিয়েছিল। বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন বিস্তারিত আলোচনার পর কমিটি জরুরি পরিস্থিতিতে ২-১৮ বছর বয়সীদের সীমিত ব্যবহাররে ওপর ছাড় দিয়েছে।
Covid 19 Vaccine: করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন গাইডলাইন
Pak Terrorist: সপ্তমীর সকালে গ্রেফতার অস্ত্রসহ পাক-জঙ্গি, নবরাত্রিতে হামলার পরিকল্পনা বানচাল
Durga Puja: করোনা যোদ্ধাদের সম্মান পুজো মণ্ডপে, দূর্গা এখানে কোভিড-বিনাশকারী
শিশুদের করোনা টিকাঃ শিশুদের কোভ্যাক্সিন টিকা ২-১৮ বছর বয়সীদের দেওয়া যাবে। এই টিকাটি দুটি ডোজের। প্রথম ও দ্বিতীয় টিকার ডোজের মধ্যে ২০ দিনের ব্যাবধান থাকবে।
তবে জরুরি ব্যবহারের এই অনুমোদন কিছু শর্ত সাপেক্ষ। কোভ্যাক্সিনের ডেভেলপা সমগ্র ভাইরনস নিস্ক্রিয় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন অনুমোদিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল প্রটোকল অনুসারে গবেষণা চালিয়ে যাবে। প্রেসক্রিপশন ইনফরমেন আপডেট করতে হবে। প্রোডাক্ট ক্যারেক্টারিস্টিস ও ফ্যাক্টশিটও সরবরাহ করতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ডেটা সুরক্ষা তথ্য জমা দিতে হবে প্রস্তুতকারক সংস্থাকে। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও পর্যন্ত কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়নি। ভারত বায়োটেক জুলাই মাসে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিয়েছিল।
সম্প্রতি স্কুল কলেজ খোলার বিষয় নিয়ে ্আলোচনা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য গত দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ। কিন্তু সংক্রমণের বিপদ এখনও কাটেনি। এই অবস্থায় যদি শিশুদের টিকা দিয়ে স্কুল কলেজ খোলা হয় তাহলে কিছুটা হলেও নিশ্চিত হতে পারেন অভিভাবকরা। অনেক বিশেষজ্ঞই এমন মনে করছেন।