নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী? নোবেল কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে

নোবেল শান্তু পুরস্কার পেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নোবেল কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে । সম্প্রতি ভারতে এসেছে নোবেল কমিটির একটি প্রতিনিধি দল।

 

Web Desk - ANB | Published : Mar 16, 2023 3:37 AM IST

আরও একটি নোবেল পুরস্কার পেতে পারে ভারত। নোবেল কমিটির এক সদস্যের কথায় তেমনই গুঞ্জন সর্বত্র। আর যদি তা সত্যি হয় তাহলে বিশ্ব শান্তির জন্য সেই পুরস্কার গ্রহণ করতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নোবেল কমিটির সদস্যের কথায় বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা কাজ করতে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিনে দিনে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। নোবেলন কমিটির ওই সদস্য আরও জানিয়েছেন তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি ভক্ত।

নরওয়ে থেকে নোবেল প্রাইজ কমিটির এরটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ভারতে এসে পৌঁছেছে। এই কমিটির শান্তি পুরস্কারের জন্য বিজয়ী নির্ধারণ করে। এই প্রতিনিধি দলের উপনেতা অ্যাসেল তোজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রবল প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন মোদীর মত একজন শক্তিশালী নেতা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করছেন। তাতেই অনুমান করা হচ্ছে নোবেল নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি একটি বড় খবর পেতে পারে ভারতীয়রা।

নরওয়ের নোবেল প্রাইজ কমিটির ডেপুটি লিডার অ্যাসলে তোজে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য পরিস্থিতি দেখতে ভারতে এসেছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে এসেছিল একটি প্রতিনিধি দল। তিনি জানিয়েছেন, 'আমরা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বিপুলি সংখ্যা ভারতীয়র মনোনয়ন পাচ্ছি। আমি আশা করছি যে বিশ্বের প্রতিটি নেতা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য কাজ করুক।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মোদীর প্রচেষ্টা অনুসরণ করছি। মোদীর মত শক্তিশালী নেতার শান্তি প্রতিষ্ঠার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভারত একটি শক্তিশালী দেশ। তাই তাঁকে খুবই গুরুত্বসহকারে নেওয়া হচ্ছে। তাঁক বিশ্বাসযোগ্যতা ও শক্তির ব্যবহার যুদ্ধ থামাতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

অ্যাসলে আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন । তাঁর এই উদ্যোগ যুদ্ধ থামাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী শুধুমাত্র ভারতের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন এমনটা নয়। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, মোদী ও ভারতের এক পদক্ষেপ বিশ্বের বাকি দেশগুলির অনুসরণ করা উচিৎ। আগামী দিনে ভারত সুপার পাওয়া হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

অন্যদিকে নরওয়ের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ হিমাংশু দুলাটি বলেছেন, আগামী আরও অনেকেই নোবেল প্রাইজের জন্য মনোনীত হবেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুটি দেশই ভারতকে সমীহ করে। তাই যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ভারতের এই ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নোবেল শান্তি পুরস্কার তাদেরই দেওয়া হয়, যারা যুদ্ধের আবহ থেকে মুক্তির জন্য ও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। গোটা বিশ্ব থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়। আগে বারাক ওবামা নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০০২ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এই সম্মান পান। ২০১২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ২০০১ সালে রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব কফি আন্নান ও মাদার টেরেসা ২৯৯৭ সালে ও কৈশাস সত্যার্থী ২০১৪ সালে এই পুরস্কার পেয়েছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিশ্বের একাধিক দেশে ত্রাণ ভ্যাক্সিন পাঠিয়ে তিনি সাহায্য করেছিলেন। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়া আর তুরস্কে ত্রাণ উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছিলেন। পাশাপাশি চিকিৎসকদের এরটি প্রতিনিধি দলও পাছিয়েছিলেন। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুটি যুযুধান দেশের একটিকেও তিনি সমর্থন করেননি। যুদ্ধ সমর্থন করেননি। দুই দেশকেই একাধিকপবার আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন। কথা বলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। দুই দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।

Share this article
click me!