১২৫ কোটি টাকা জালিয়াতির (Fraud) অভিযোগে হরিয়ানার (Haryana) গুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হল সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ (BSF)-এর এক ডেপুটি কমান্ড্যান্ট। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হল নগদ ১৪ কোটি টাকা, এক কোটি টাকা মূল্যের গয়না, এবং ৭ টি বিলাসবহুল গাড়ি।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ (BSF) - নিজেদের জীবন বাজি রেখে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব পালন করেন তাঁরা। তাই গোটা দেশের মানুষে বিশেষ সম্মানের চোখে দেখেন তাঁদের। সেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সেরই সম্মান ডোবালো বাহিনির এক ডেপুটি কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার আধিকারিক। ১২৫ কোটি টাকার জালিয়াতির (Fraud) অভিযোগে রবিবার তাকে গ্রেফতার করল হরিয়ানা পুলিশ (Haryana Police)। আর তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হল বিপুল পরিমাণ সম্পদ।
ধৃত ওই বিএসএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্টের নাম প্রবীণ যাদব। হরিয়ানার গুরগাঁও (Gurgaon) থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে শুধু বিএসএফ-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকই ছিল না, গুরগাঁও জেলার মানেসারে (Manesar) অবস্থিত, দেশের সবথেকে এলিট সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনি ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (National Security Guard) বা এনএসজি সদর দফতরে নিযুক্ত ছিল সে। এই উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকের কাছ থেকেই এদিন হরিয়ানা পুলিশ, নগদ ১৪ কোটি টাকা, এক কোটি টাকা মূল্যের গয়না, এবং ৭ টি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে। যার মধ্যে একটি বিএমডব্লু (BMW), একটি জিপ (Jeep) এবং একটি মার্সিডিজ (Mercedes) গাড়ি ছিল। শুধু এই সেনা আধিকারিককেই নয়, এদিন গুরগাঁও পুলিশ প্রবীণ যাদবে স্ত্রী মমতা যাদব এবং বোন রিতু যাদবকেও গ্রেফতার করেছে।
গুরগাঁও পুলিশের এসিপি (ক্রাইম) প্রীত পাল সিং জানিয়েছেন, স্টক মার্কেটে ৬০ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন বিএসএফ ডেপুটি কমান্ড্যান্ট প্রবীণ যাদব। এব়পরই স্ত্রীর সঙ্গে মিলে সে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে ওই টাকাটা পুনরুদ্ধারের করার পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা মতো নিজেকে একজন ভারতীয় পুলিশ সার্ভিস (Indian Police Service) অফিসার হিসাবে পরিচয় দিয়ে, এনএসজি ক্যাম্পাসে নির্মাণ চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি সব মিলিয়ে পরিমাণটা প্রায় ১২৫ কোটি টাকা।
নিজেকে আইপিএস অফিসার বলে পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি, ওই সেনা আধিকারিক এনএসজি-র নামে একটি জাল অ্যাকাউন্টও খুলেছিল। জালিয়াতির সমস্ত টাকা অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের (Axis Bank) সেই অ্যাকাউন্টেই স্থানান্তরিত করা হতো। এই অ্যাকাউন্টটি খুলতে তাকে সাহায্য করেছিল তার বোন রিতু যাদব। পুলিশ জানিয়েছে তিনি অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কেরই এক শাখার ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন। মমতা যাদব এবং রিতু যাদব, দুজনকেই বিএসএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট প্রবীণ যাদবকে জালিয়াতির কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুড়গাঁও পুলিশ আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রবীণ যাদবের পদোন্নতি ঘটেছিল, তবে তার জন্য তাঁকে আগরতলায় যেতে হতো। সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে করে তিনি এত সম্পদ অর্জন করেছিলেন যে, সেই পদ তিনি নেননি।