ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
অসম ও মেঘালয় সীমান্তে বেআইনি কাঠ পাচারকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চূড়ান্ত তৎপরতা, স্থানীয় বাসিন্দাদের রোষে উত্তপ্ত গোটা সীমান্ত এলাকা। ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার, দিনের শুরুতে মেঘালয়ের পশ্চিম কার্বি অঞ্চলের আংলং জেলায় বেআইনি কাঠ পাচারের একটি ট্রাককে আটকানো হয়, যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ জোরালো সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়, সেখানেই অসমের এক বনরক্ষী সহ মোট ৬ জন মারা যান, নিহতদের মধ্যে বাকি ৫ জন ছিলেন মেঘালয়ের বাসিন্দা।
অসম এবং মেঘালয়ের মধ্যে সীমান্ত প্রায় ৮৮৪.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে প্রায় ১২টি এলাকার সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। পশ্চিম কাৰ্বি আংলং-মেঘালয় পশ্চিম জৈন্তিয়া পাহাড়ের মুকরোহ গ্রামে মঙ্গলবার গুলি চালানোর মর্মান্তিক ঘটনার পর, পরিস্থিতি ক্রমশ জটিলতর হতে থাকে, নিরাপত্তাকর্মীদের আক্রমণ করার জন্য আঞ্চলিক বাসিন্দারা লাঠিসোটা নিয়ে জমায়েত হতে শুরু করেন। অবস্থার মোকাবিলা করার জন্য অসম পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘালয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়। মোট ৭টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার আগেই, এই ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ওয়েস্ট কার্বি আংলং জেলার পুলিশ সুপার ইমদাদ আলির বক্তব্য, মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ মেঘালয়ের ওয়েস্ট জয়ন্তিয়া হিলস জেলার মুকরু এলাকায় প্রচুর বেআইনি কাঠ-সহ ওই ট্রাকটিকে ধরেছিল অসম বন দফতরের কর্মীরা। ধরা পড়ে যাওয়ার পর ড্রাইভার ট্রাকটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বনকর্মীরা গুলি চালিয়ে ট্রাকটির টায়ার ফাটিয়ে দেয়। ট্রাকের ড্রাইভার, হেল্পার এবং আরও একজনকে ধরে তৎক্ষণাৎ ফেলা হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। বনকর্মীদের তফরে এরপর স্থানীয় জিকরিকেন্ডিং থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ওই এলাকায় এসে উপস্থিত হয় পুলিশ।
এরপরই মেঘালয়ের স্থানীয় গ্রামবাসীরা লাঠি, বাঁশ, কাটারি এবং অন্যান্য ধারালো অস্ত্র হাতে নিয়ে বনকর্মী এবং পুলিশ কর্মীদের ঘিরে ধরে। অবিলম্বে ধৃত ৩ জনের মুক্তি দাবি তোলা হয়। দুই পক্ষের প্রচণ্ড তর্কাতর্কি চরমে ওঠে। ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা পুলিশ ও বনকর্মীদের উপর হামলা চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এর ফলে এক ফরেস্ট হোমগার্ড এবং মেঘালয়ের খাসি সম্প্রদায়ের তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। বর্তমানে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়ছেন ওয়েস্ট কার্বি আংলং জেলার পুলিশ সুপার ইমদাদ আলি। ওই হোমগার্ড-সহ মৃত ব্যক্তিরা গুলি লেগেই মারা গিয়েছেন, নাকি, অন্য কোনও অস্ত্রের আঘাতে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-
কলকাতায় এসেই কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, পুরোহিতদের সঙ্গে করলেন বাক্যালাপও
ফিরহাদ বনাম মদন বাক্যবাণ, তৃণমূলের অন্দরের মতপার্থক্য শেষমেশ গিয়ে ঠেকল বিরিয়ানিতে
চোখের সামনে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার আদেশ, মিলনরত যুগলের উপর ফেভিকুইক ঢেলে দিলেন তান্ত্রিক