চোখের সামনে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার আদেশ, মিলনরত যুগলের উপর ফেভিকুইক ঢেলে দিলেন রাজস্থানের তান্ত্রিক!

Published : Nov 23, 2022, 10:45 AM ISTUpdated : Nov 23, 2022, 10:55 AM IST
Udaipur double murder

সংক্ষিপ্ত

আঠার গ্রাস এতটাই তীব্র ছিল যে, যুবকের শরীর থেকে তাঁর যৌনাঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যৌনাঙ্গে তীব্র আঘাত পান তরুণীও।

বিবাহ বহির্ভূত একাধিক সম্পর্কের জটিলতা। রাজস্থানের উদয়পুরে জোড়া খুনের রহস্য ভেদ করতে গিয়ে পুলিশের তদন্তে উঠে এল গায়ে শিহরণ জাগানো কাণ্ডের তথ্য। ধৃত তান্ত্রিক ভালেশ কুমারকে জেরা করে ভয়ঙ্কর সত্যের উদ্ঘাটন করলেন তদন্তকারীরা।

১৮ নভেম্বর উদয়পুরের কেলাবাওড়ি এলাকার জঙ্গল থেকে ২ যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় । ২টি মৃতদেহের চেহারা ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং দেহ দেখে বোঝা যায়, মৃত্যুর সময় মিলনরত অবস্থায় ছিলেন ওই যুগল। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ৩ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে উদয়পুরের পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৫৫ বছর বয়সী এলাকার নামজাদা তান্ত্রিক ভালেশ কুমারকে।

তদন্তের শুরুতে পুলিশ মনে করেছিল যে, পৃথক পৃথক বর্ণের মধ্যে প্রেম হওয়ার দরুন খুন করা হয়েছে ওই যুগলকে। কিন্তু, ধৃত ভালেশ কুমারকে জেরা করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভালেশ জানান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত হয়ে গিয়েছিলেন রাহুল মিনা নামের এক যুবক এবং সোনু কুঁয়ার নামের এক তরুণী। ওই যুগলকে পরামর্শ দিয়ে নিজের চোখের সামনেই যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করেন তান্ত্রিক ভালেশ। এরপর তাঁরা মিলনরত অবস্থায় থাকাকালীনই ওই যুগলের গায়ে আচমকা প্রচুর পরিমাণ ফেভিকুইক ঢালতে থাকেন ওই তান্ত্রিক।

ভাদাভি গুদাহে এলাকার ইচ্ছাপূর্ণ শেশনাগ ভাবজি মন্দির ছিল তান্ত্রিক ভালেশ কুমারের বসার জায়গা। এখানেই নিজেদের সাংসারিক ঝামেলা মেটানোর পরামর্শ বা মন্ত্রসাধনা চাইতে আসতেন ৩০ বছরের শিক্ষক রাহুল মিনা এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁদের দুজনের মধ্যে সর্বক্ষণ বিবাদ লেগেই থাকত বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, সোনু কুঁয়ার নামের আরেক বিবাহিতা তরুণীও আসতেন ওই একই তান্ত্রিকের কাছে। এই পরিস্থিতিতেই রাহুল এবং সোনুর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। আরেকদিকে, এই সোনু কুঁয়ারেরই প্রেমে পড়েন তান্ত্রিক ভালেশও।

সোনুকে পাওয়ার লোভ থাকলেও ভালেশ জানতে পেরে যান যে, রাহুল এবং সোনুর মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। ফলত, তিনি রাহুলের স্ত্রীকে সব জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ইতিমধ্যে একদিন রাহুল বাড়িতে ফিরে বুঝতে পারেন যে, তান্ত্রিক ভালেশ তাঁর স্ত্রীকে তাঁর পরকীয়ার কথা সব জানিয়ে দিয়েছেন। তখনই রাহুল এবং সোনু, দুজনে মিলে তান্ত্রিকের কাছে যান এবং তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে তাঁর ব্যবসা লাটে তুলে দেওয়ার হুমকি দেন।

এই মন্দিরে প্রায় ৭-৮ বছর ধরে ব্যবসা করছিলেন তান্ত্রিক ভালেশ কুমার। এই ব্যবসা শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে তিনি দুজনকে সরিয়ে ফেলার ফন্দি আঁটেন। রাহুল এবং সোনুকে ডেকে তিনি বলেন যে, তাঁর সামনেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পাবে। রাহুল ও সোনুও এই ফাঁদে পা দিয়ে যৌনতায় লিপ্ত হন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফেভিকুইক নামের সুপার আঠার প্রায় ৫০টি প্যাকেট আগে থেকে কিনে রেখেছিলেন ভালেশ। এই যুগল যৌনতায় লিপ্ত হতেই তিনি প্রচণ্ড কার্যকরী ওই আঠা ঢালতে থাকেন দুজনের দেহ এবং যৌনাঙ্গের ওপরে। আঠা ছাড়িয়ে বেরনোর প্রাণপণ চেষ্টা করতে থাকেন রাহুল ও সোনু। আঠার গ্রাস এতটাই তীব্র ছিল যে, রাহুলের শরীর থেকে তাঁর যৌনাঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যৌনাঙ্গে তীব্র আঘাত পান সোনুও। চিৎকার বন্ধ করতে দুজনের ওপরেই ছুরি চালাতে থাকেন তান্ত্রিক, ছুরি দিয়ে তিনি রাহুলের গলাও কেটে দেন। তারপর তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।


ঘটনার পর কেলাবাওড়ি এলাকায় প্রায় ৫০টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে প্রায় ২০০ জনকে জেরা করে স্থানীয় পুলিশ। তখনই ভালেশকে পাকড়াও করে জেরা শুরু হয়। জেরার মুখে পড়ে খুনের কথা কবুল করেন ভালেশ। তিনি জানিয়েছেন, দুজনকে এরকম অবস্থায় মারার কারণ, যখন মানুষ এই মৃতদেহদুটি খুঁজে পাবেন, তখন সবাই কিছু বুঝে উঠবার আগেই তিনি এলাকা ছেড়ে একেবারে গায়েব হয়ে যেতে পারবেন। আদালত ভালেশকে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনার পর কোনও মহিলার সাথে ফোনে কথাও বলেছেন এই তান্ত্রিক। সেই বিষয়েও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।


আরও পড়ুন-
১৯৩৭ সালে আজকের দিনেই চলে গিয়েছিলেন বিশ্ববরেণ্য বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু, প্রয়াণ দিবসে ফিরে দেখা তাঁর আবিষ্কার
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কাণ্ডারি ছিলেন বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুও, তাঁর অবদান তুলে ধরবে ভারতীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক

কলকাতায় এসেই কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, পুরোহিতদের সঙ্গে করলেন বাক্যালাপও

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি