তিহার জেলে বন্দি দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনের ওজন এবং তাকে দেওয়া খাবার নিয়ে একটি নতুন ভিডিও সামনে এসেছে। তিহার জেলের সঙ্গে যুক্ত সূত্রের দাবি, জেলে সত্যেন্দ্র জৈনকে প্রতিদিন পাঁচতারা মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বন্দি। তবে সেটা শুধু নামেই। মিলছে ম্যাসাজ, মিলছে পছন্দমত রাজকীয় খাবার। এমনকী তার সেলের দরজাও খোলা। পাশে রয়েছে মিনারেল ওয়াটারের একাধিক বোতল। এক কর্মচারি মাঝে মধ্যেই তাকে এসে খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে। তিহার জেলের এই ভিডিও রীতিমত চমকে দিয়েছে আম জনতাকে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে তিহার জেলের মধ্যে কি রাজকীয় ভাবে দিন যাপন করছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
তিহার জেলে বন্দি দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনের ওজন এবং তাকে দেওয়া খাবার নিয়ে একটি নতুন ভিডিও সামনে এসেছে। তিহার জেলের সঙ্গে যুক্ত সূত্রের দাবি, জেলে সত্যেন্দ্র জৈনকে প্রতিদিন পাঁচতারা মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। জেলে তাঁর ওজন ২৮ কেজি কমেছে বলে সত্যেন্দ্র জৈনের দাবিও অস্বীকার করেছে সূত্র। সূত্র জানিয়েছে, জেলে থাকার সময় সত্যেন্দ্র জৈনের ওজন বেড়েছে ৮ কেজি।
দেখুন ভিডিও-
এর আগে, তিহার জেলে বন্দি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের ম্যাসাজের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সত্যেন্দ্র জৈনকে জেলে ভিআইপি সুবিধা দেওয়ার জন্য আম আদমি পার্টিকে নিশানা করে বিজেপি। এর প্রতিক্রিয়ায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেন যে সত্যেন্দ্র জৈনকে ম্যাসাজ করা হচ্ছে না। তার ফিজিওথেরাপি চলছে। হাত-পা ম্যাসাজ ফিজিওথেরাপির একটি অংশ। তবে এই বিবৃতি সামনে আসার পরেই আইএপি অর্থাৎ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ ফিজিওথেরাপিস্ট বলেছে যে সত্যেন্দ্র জৈন যে ম্যাসাজ করছেন তা ফিজিওথেরাপি নয়। আইএপি ফিজিওথেরাপি হিসাবে ম্যাসাজের বিষয়ে সিসোদিয়ার বিবৃতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
আইএপি সভাপতি সঞ্জীব কুমার ঝা বলেছেন যে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনেক নিউজ প্ল্যাটফর্মে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে জেলে একজন বন্দিকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে দেখানো ম্যাসাজ ফিজিওথেরাপি নয়। ফিজিওথেরাপিকে ম্যাসাজ বলে অপমান করা হচ্ছে এই পেশার অপমান করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। যে মন্ত্রী ম্যাসাজকে ফিজিওথেরাপি বলেছেন তার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
সত্যেন্দ্র জৈনের ম্যাসাজের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। এরপরেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। উল্লেখযোগ্যভাবে, মানি লন্ডারিং মামলায় জেলে থাকা সত্যেন্দ্র জৈনের ম্যাসেজের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। সত্যেন্দ্রকে তিহার জেলের সেল-৩ ব্লক-এ-তে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ধরা পড়তে দেখে, আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে একটি স্পষ্টীকরণ দেওয়া হয়েছে যে সত্যেন্দ্র জৈনকে থেরাপি দেওয়া হয়েছে। কিছু জটিলতার কারণে তাকে কারাগারে ফিজিওথেরাপি করানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সিসোদিয়া এই বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সস্তা রাজনীতির অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, সত্যেন্দ্র জৈন গত ৬ মাস ধরে জেলে রয়েছেন। তিনি জেলে পড়ে গিয়েছিলেন, যার কারণে তার মেরুদণ্ডে ব্যথা হয়েছিল এবং তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বিজেপি এই ধরনের ভিডিও প্রকাশ করে কটাক্ষ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন