এই ঘটনা যেন স্লামডগ মিলিওনেয়ার ছবির কথা কিছুটা মনে করিয়ে দেয়। যদিও বহু ফারাক রয়েছে, তবুও ভিখারির কুঁড়েঘর জুড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা শুনলে যে কেউই একটু তো অবাক হবেই। আর ঘটেছেও তেমনটাই। যদিও ছবিটা বেদনাদায়ক।
জানা গিয়েছে, যাকে ঘিরে এতো কথা সেই বুর্জু চন্দ্র আজাদ মুম্বইয়ে ভিক্ষা করেই দিন কাটাত। প্রতিদিন সকালে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে সে বেরিয়ে পড়ত, ফিরত সেই সন্ধ্যায়। সে থাকত গোবান্দি এলাকার কাছে একটি কুঁড়েঘরে। কিন্তু ষাটোর্দ্ধ এই বৃদ্ধের হঠাৎই ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়। আর তার সেই দেহ নিয়ে তার কুঁড়েঘরে পুলিস উপস্থিত হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে আসে লক্ষ লক্ষ টাকার বিষয়টি।
তার বাসস্থান থেকে পাওয়া যায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার হদিশ। এর মধ্যে ছিল ১.৭৭ লক্ষ টাকার খুচরো, যা গুনতে পুলিশের সময় লাগে প্রায় ৮ ঘন্টা। এবং সেই সঙ্গে পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের হদিশ, সব মিলিয়ে সেই সব অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ ৮.৭৭লক্ষ টাকা।
বুর্জু চন্দ্র আজাদের প্যান, আধার থেকে শুরু করে ছিল সিনিয়র সিটিজেন কার্ডও। এবার এই সব কার্ডের ওপর ভিত্তি করেই পুলিশ রাজস্থানে বুর্জুর পরিবারের সদস্যদের খোঁজে নেমে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুর্জু এই কুঁড়েঘরে একাই থাকত। তার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানে না তার প্রতিবেশীরাও। তার বাড়িতে যা ডকুমেন্টস পাওয়া গিয়েছে তার ভিত্তিতেই কাজ শুরু করেছে পুলিশ। বুর্জুর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।