সংক্ষিপ্ত

  • জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে বিজেপি-কে আক্রমণ মমতার
  • ছাত্রদের উপর ফ্যাসিস্ট আক্রমণ, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
  • যাদবপুরে বাবুল নিগ্রহের সময় কেন চুপ
  • মমতাকে পাল্টা প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের
     

জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনাকে পড়ুয়াদের উপরে ফ্যাসিস্ট হামলা বলে সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতাকে কটাক্ষ করে তাঁর প্রশ্ন, যাদবপুরে বাবুল সুপ্রিয়র উপরে হামলা সময় কেন চুপ করে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

জেএনইউ-তে বহিরাগতদের হামলার সমালোচনা করে রবিবার রাতেই টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে জেএনইউ- এর ঘটনাকে গণতন্ত্রের লজ্জা বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ দিন ফের একবার হাওড়ার ডুমুরজোলায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেএনইউ-এর এই হামলা আসলে ছাত্রদের উপরে ফ্যাসিস্ট আক্রমণ। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সমস্ত নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপি শাসিত লখনউ-তেও ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে বলে উদাহরণ দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

তিনি বলেন, 'সব ছাত্রছাত্রীদেরই বলব একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমাদের সবারই মূল উদ্বেগের বিষয় নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর। আমরা সবাই ছাত্রদের সঙ্গে আছি।' এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকার সমালোচনা করেন মমতা। তিনি বলেন, 'যাদবপুরে কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন। সাংবিধানিক পদাধিকারীও গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন। আমি জানি না আগামিকাল কী হবে! মনে হচ্ছে আমরা যেন দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই লড়ছি। এরা সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই টার্গেট করেছে।' মমতা বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা মানেই সরকারে থেকে যা ইচ্ছে তাই করা যায় না। 

এর পাল্টা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, 'আজকে জেএনইউ নিয়ে উনি চোখের জল ফেলছেন, যখন যাদবপুরে আমাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আটকে রাখা হলো, চুল ধরে টানা হলো, তখন কেন উনি তার নিন্দা করেননি? জেএনইউ-তে যা হয়েছে তা দেখার জন্য লোক আছে, নিশ্চয়ই ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুম্ভিরাশ্রু ফেলতে হবে না।' মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপবাবু আরও বলেন, 'ওনার কথা শুনে তো আমার সন্দেহ হচ্ছে। উনি কি তাহলে দেশদ্রোহীদের সমর্থন করছেন?'

শিক্ষাক্ষেত্রে হিংসাত্মক ঘটনার সমালোচনা করেও দিলীপ ঘোষের দাবি, 'বামপন্থীরাই প্রথমে শিক্ষাক্ষেত্রে হিংসার আমদানি করেছে। এখন তাদের যা প্রাপ্য সেটাই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।'