নগ্ন করে বেদম মার তিন মুসলিম বোনকে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে গর্ভের সন্তানকেও হত্যা করল পুলিশ

তিন মুসলিম বোনকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। তারপর তাঁদের নগ্ন করে চলল অকথ্য নির্যাতন। গর্ভবতী এক মহিলার পেটে লাথি মেরে নষ্ট করা হল গর্ভের সন্তান। প্রশ্নের মুখে অসমের দারাং জেলার পুলিশ।

 

amartya lahiri | Published : Sep 18, 2019 7:37 AM IST

শিউরে উঠতে হয়। অপহরণকারী সন্দেহে রাত্রিবেলা হানা দিয়ে এক মুসলিম পরিবারের তিন বোনকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। তারপর কয়েক ঘন্টা ধরে থানার মধ্যেই নগ্ন করে চলল অকথ্য নির্যাতন। তিন বোনের একজন ছিলেন গর্ভবতী। তাঁর পেটে মারা হল লাথি। নষ্ট হয়ে গেল গর্ভের সন্তান। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ সেপ্টেম্বর, বিজেপি শাসিত অসমের দারাং জেলায় । তবে প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বরই।   

জানা গিয়েছে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে এক অপহরণের মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে মিনুয়ারা বেগম ও তাঁর দুই বোন সালুয়ারা বেগম, রুমেলা বেগমকে গুয়াহাটির ছয় মাইল এলাকায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় বুরহা আউটপোস্টের পুলিশ। পুলিশের দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ওসি মহেন্দ্র শর্মা।

মিনুয়ারার অভিযোগ অনুযায়ী, তাদের থানায় নিয়ে গিয়েই বিবস্ত্র করে দেওয়া হয়। তারপর মহেন্দ্র শর্মা ও কয়েকজন মহিলা কনস্টেবল মিলে তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালায়। আঘাত করা হয় তাঁদের গোপনাঙ্গেও। এক সময় গর্ভবতী মিনুয়ারার পেটে লাথি মারেন মহেন্দ্র শর্মা। তৎক্ষণাত রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর শরীর থেকে। ওই অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ ফেলে রাখার পর মিনুয়ারাকে কাছের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে পুলিশ তাদের বন্দুক দেখিয়ে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ না করার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করেছেন মিনুয়ারা।

মিনুয়ারা আরও জানিয়েছেন, তাঁদের তুলে আনার সময় কী অপরাধে তাঁদের আটক করা হচ্ছে তাও জানায়নি পুলিশ। বন্দুক দেখিয়ে কোনও প্রশ্ন করতে বারণ করা হয় তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে। থানায় তাঁদের কাছে বারবার করে তাঁদের ভাইয়ের খোঁজ চাওয়া হয়। কিন্তু তিন বোনের কেউই তা জানাননি।

ঘটনাটি জানাজানি হতেই রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। অসম রাজ্য মহিলা কমিশনও এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসে। দারাং জেলার পুলিশ সুপার অমৃত বুয়ান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ডেপুটি সুপার নিজে সেই তদন্ত করছেন। তদন্তে যদি নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হবে তবে ফৌজদারি ধারায় মামলা করা হবে ওই ওসির ও অন্যান্য অপরাধিদের বিরুদ্ধে। আপাতত তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।

 

Share this article
click me!