রহস্যময় চুনরিওয়ালা মাতাজি প্রয়াত, ৭৬ বছর ছিলেন নিরন্ন আর নির্জলা

৯০ বছরে রহস্যময় চুনরিওয়ালা মাতাজি প্রয়াত
৭৬ বছর ছিলেন জল ও খাবার ছাড়া
বাতাসের ওপর নির্ভর করেই বেঁচে ছিলেন তিনি
২বার পরীক্ষাতে সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি 
 

Asianet News Bangla | Published : May 26, 2020 11:33 AM IST / Updated: May 26 2020, 05:31 PM IST

প্রহ্লাদ জানি,  ভক্তদের কাছে তিনি ছিলেন চুনরিওয়ালা মাতাজি। মঙ্গলবার সকালে ৯০ বছর বয়সে গুজরাতে গান্ধীনগরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাবাজির শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর জন্মস্থান চারাদায়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছন, ভক্তরা যাতে চুনরিওয়ালা মাতাজিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সেই জন্য আশ্রমে আরও দুই দিন শায়িত থাকবে তাঁর দেহ। গুজরাতের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাঁর অগণিত ভক্ত রয়েছে। 

চুনরিওয়ালা মাতাজি দাবি করেছিলেন বেঁচে থাকার জন্য তাঁর জল বা খাবার কোনও কিছুরই প্রয়োজন হয়না। তিনি আরও দাবি করেছিলেন ৭৬ বছর ধরে তিনি জল পান করেননি। মুখে দেননি কোনও দানা। এক দেবীর আর্শীর্বাদ রয়েছে তাঁর ওপর। কখনও আবার বলতেন দেবী তাঁকে ধারণ করেছেন। তাই খাদ্য ও পানীয় তাঁর কাছে নিস্প্রয়োজনীয়। মাতাজির দাবির সত্যতা পরখ করতে একবার নয় দু-দুবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। ২০০৩ ও ২০১০ সালে। দুটো পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হয়েছিলেন চুনরিওয়ালা মাতাজি।


শোনাযায় খুব ছোট্টবেলায় তপস্যার জন্য বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। অম্বাজি মন্দিরের কাছে একটি ছোট্ট গুহা তৈরি করে সেখানেই থাকেন।  পরবর্তীকালে যোগী হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি দাবি করতেন ১৪ বছর বয়স থেকেই খাবার ও জলের কোনও প্রয়োজন হয় না তাঁর।  শুধুমাত্র বাতাসের সাহায্যেই বেঁচে থাকতে পারেন তিনি।

২০১০ সালে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার অধীনে ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অফ ফিজিওলজি ও অ্যালাইজ সায়েন্সের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা টানা ১৫ দিন পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন তাঁকে। কী করে একটা মানুষ দিনের পর দিন জল ও খাবার ছাড়া সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে, সেই রহস্যের সমাধান করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন অভিযোজন পদ্ধতি বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছিল চুনরিওয়ালা মাতাজিকে। 
 

Share this article
click me!