লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিরোধীরাই বিজেপিকে জিতিয়ে দেবে, চমকে দেওয়ার মত ভবিষ্যদ্বাণী প্রশান্ত কিশোরের

আসন্ন লোকসভায় বিজেপিকে ঠেকানোর ক্ষমতা কারোরই নেই। এমনকি বাংলাতেও যে জয়ের পাল্লা যে বিজেপির দিকেই ঝুঁকে রয়েছে, তা পিকে-র কথাতেই স্পষ্ট। তার মতে, বিরোধীরাই মোদীর জয়ের পথ আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে।

Parna Sengupta | Published : Mar 20, 2024 8:37 AM IST / Updated: Mar 20 2024, 02:09 PM IST

আসন্ন নির্বাচনে ৪০০ এর বেশি আসন দখলের লক্ষ্য নিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই চারদফায় বাংলা ঘুরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কর্মীদের ভোকাল টনিক থেকে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা, খামতি রাখা হয়নি কোনও কিছুতেই। একই সাথে আম জনতার স্বার্থে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিল্যান্যাসও করে গেছেন তিনি। এমন আবহে বাংলায় বিজেপি ঝড়ের ভবিষ্যদ্বাণী ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের।

তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আসন্ন লোকসভায় বিজেপিকে ঠেকানোর ক্ষমতা কারোরই নেই। এমনকি বাংলাতেও যে জয়ের পাল্লা যে বিজেপির দিকেই ঝুঁকে রয়েছে, তা পিকে-র কথাতেই স্পষ্ট। তার মতে, বিরোধীরাই মোদীর জয়ের পথ আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে। বিজেপির জয়ের কারণ হিসেবে ৭টি কারণও দেখিয়েছেন ভোট প্রকৌশলী প্রশান্ত কিশোর।

১. ভোট প্রচারে মমতাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করে সমস্ত কিছুর জন্য গোটা তৃণমূলকে দায়ী করার কৌশলকে তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পিকে।

২. রাজবংশী ভোট টানতে অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভায় পাঠানোর অঙ্ক বিজেপির দিকেই যাবে। কারণ মতুয়ার পর এটি বাংলার দ্বিতীয় বৃহত্তম তফসিলি জাতি (SC) সম্প্রদায়।

৩. বাংলায় কংগ্রেস- সিপিএম এবং তৃণমূলের পৃথক লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত আখেরে বিজেপিকেই লাভবান করবে বলে মনে করছেন পিকে।

৪. সিএএ নীতি বাংলার রাজনীতিতে বিজেপিকে শক্তিশালী করবে। বাংলাদেশ থেকে আসা বহু শরণার্থী বিজেপির মুখাপেক্ষী হয়ে ছিল।

৫. পূর্বে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম যেমন তৃণমূলের হাতের তুরুপের তাস হয়ে উঠেছিল তেমন এবার সন্দেশখালি হয়ে উঠবে বিজেপির ব্রহ্মাস্ত্র।

৬. বাংলার হিন্দু ভোটারদের কথা সেভাবে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। আর এবার সেটাকেই কাজে লাগিয়েছে বিজেপি। পিকের মতে, বাংলার হিন্দু ভোটার বিজেপির জন্য একটা এক্স ফ্যাক্টর হতে চলেছে।

৭. হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা তফশিলি তারাও এবার বিজেপির হয়ে ভোট দেবে বলে মনে করছেন পিকে। রাজবংশী, মতুয়ার পাশাপাশি জঙ্গলমহলের আদিবাসী ভোটও এবার বিজেপি পাবে বলে মনে করছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজনৈতিক মহলে প্রশান্ত কিশোরের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সকলেই। সে ২০১৪ সালে মোদীর উত্থান হোক কী ২০২১ এ বাংলায় তৃণমূলের ফিরে আসা, এই সবকিছুতেই প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা যথেষ্ট তাত্‍পর্যপূর্ণ। তাই আসন্ন নির্বাচনের পূর্বে তার মন্তব্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখছে রাজনৈতিক কারবারিরা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Read more Articles on
Share this article
click me!