বিহারের উন্নয়নের জন্য প্রশান্ত কিশোর কিছুই করেননি। বিহারের চম্পারণ থেকে তোপ দাগলেন প্রশান্ত কিশোর। শুক্রবার বিহারের মত রাজ্যগুলিতে মূল্যবৃদ্ধি ও শিল্পায়ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র নোদীক বিরুদ্ধে আবারও সরব হলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। শুক্রবার বিহারের মত রাজ্যগুলিতে মূল্যবৃদ্ধি ও শিল্পায়ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন।
প্রশান্ত কিশোর বর্তমানে নিজের রাজ্যে নিজের দলীয় সংগঠন তৈরির কাজে ব্যস্ত। গোটা বিহার জুড়েই তিনি পদযাত্রা বা শোভাযাত্রা করছেন। এদিন তিনি বিহারের রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম চম্পারন জেলার মহকুমা নারকাটিয়াগঞ্জের একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেখানেই স্থানীয় বাসিব্দাদের উদ্দেশ্যে কথা বলার সময়ই তিনি নরন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন। তাঁর বক্তৃতা সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত জনপ্রিয়। মন ছুঁয়ে গেছে নেটিজেনদের।
যাইহোক প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপে তাঁকে সাবলীল ভোজপুরীতে কথা বলতে শোনা গেছে। জান সুরাজ নামে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ক্লিপটি শেয়ার করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেছেন কিশোরের বিহারব্যাপী এই সফরের শেষে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি হবে। যাইহোক ভাইরাল হওয়া ভিডিও বার্তায় প্রশান্ত কিশোরকে বলতে শোনা গেছে, "আমরা হর হর মোদী, ঘর ঘর মোদী স্লোগান দিয়েছিলাম এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাপর আমরা যা পেয়েছি তা হল রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে, সিলিন্ডার প্রতি ৫০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকায়... যদি তিনি আরও একবার নির্বাচিত হন। অফিসে থাকাকালীন, দাম সিলিন্ডার প্রতি ২ হাজার টাকায় পৌঁছতে পারে"। অথচ এই প্রশান্ত কিশোরই ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী প্রচারের এজেন্ট ছিলেন। প্রচার প্রক্রিয়ার রূপরেখাও তিনি তৈরি করেছিলেন।
প্রশান্ত কিশোর তাঁর ভাষণে বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাননি। যে প্রকল্পগুলিতে বিজেপি তাদের নির্বাচনী সাফল্যের কারণ হিসেবে তুলে ধরে। যাইহোক প্রশান্ত কিশোর কেন্দ্রীয় সরকারের বিনামূল্যে খাদ্য শস্য বিলি ইস্যুতে বলেন 'আমাদের ছোট করা হচ্ছে আমাদের বিনামূল্য গ্যাস সিলিন্ডার দিন। '
কিশোর, বলেছেন তিনি একটা সময় বিজেপির জন্য কাজ করেছেন। গুজরাটের মত লাভজনক রাজ্যে শিল্প স্থাপন করা হচ্ছে কিন্তু বিহারে নয়। গুজরাটে একটা সময় মোদী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আইপ্যাকের প্রতিষ্ঠাতার অভিযোগ, মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিহারের চিনিকলগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করবেন। স্থানীয় উৎপাদিত চিনি দিয়ে তিনি চা খাবেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে মোদী কিছুই করেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কিশোরের অভিযোগ, বিহারের ছেলেরা আজ কাজের জন্য গুজরাটের মত রাজ্যে যাচ্ছে। সেখানে তাদের কারখানা রয়েছে। গুজরাটে বিজেপি সাংসদ সংখ্যা ২৬। কিন্তু বিহার থেকে ৪০ জন সাংসদ রয়েছে। তারা বিহারের উন্নয়নের জন্য কিছুই করছে না।