মন কি বাত-এর ৫৭-তম এপিসোডে প্রদানমন্ত্রী মোদী ডাক দিয়েছিলেন একটু অন্যভাবে দীপাবলি উদযাপনের। 'ভারত কি লক্ষ্মী' হ্যাশট্যাগ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন মহিলাদের অনুপ্রেরণাদায়ক কাহিনি সোশ্য়াল মিডিয়ায় শেয়ার করার ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এই নারীশক্তির বেশ কিছু আশ্চর্যজনক কাহিনি এদিনের অর্থাৎ মন কি বাত-এর ৫৮তম এপিসোডে প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল।
প্রদানমন্ত্রী জানান, কেরলের ওয়ারাঙ্গল-এর কে রমেশ নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন তাঁর মা-এর কথা। ১৯৯০ সালে তাঁর বাবা মারা গিয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁর মা-ই তাঁদের পাঁচ ভাইয়ের শক্তি হয়ে ওঠেন। একা হাতে সংসার সামলে পাঁচ সন্তানকে বড় করেন। আজ তাঁরা সবাই প্রতিষ্ঠিত।
গীতিকা স্বামী নামে এখ মহিলার চোখে আবার মেজর খুশবু কানওয়ার ভারত কি লক্ষ্মী। এক বাস কন্ডাক্টরের মেয়ে মেজর খুশবুই অসম রাইফেলস-এর নারি বাহিনীর প্রধান। কবিতা তিওয়ারি নামে একজন আবার তাঁর নিজের মেয়েকে ভারত কি লক্ষ্মী বলে মনে করেন। তাঁর মেয়ে একই সঙ্গে শিল্পকলায় পারদর্শী আবার ক্ল্যাট পরীক্ষাতেও খুব ভাল ফল করেছেন।
এইসব ভারত-লক্ষ্মীদের কাহিনি বলার পর প্রধানমন্ত্রী কন্নর মহিলা কবি হোন্নাম্মার একটি কবিতার হিন্দি অনুবাদ পড়ে শোনান। জানান, এই কবিতাটি ভারত কি লক্ষ্মী প্রকল্পের মেজাজের সঙ্গে একেবারে মানানসই। কবিতাটিতে বলা হয়েছে, 'হিমবন্ত তাঁর কন্যা পার্বতীর কারণে খ্যাতি পেয়েছিলেন, ঋষি ভৃগু খ্যাতি পেয়েছিলেন তাঁর কন্যা লক্ষ্মীর কারণে, এবং রাজা জনক খ্যাতি পেয়েছিলেন তাঁর কন্যা সীতার কারণে।'