নজিরবিহীন হিংসায় বিধ্বস্ত রাজধানী দিল্লি। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতার হলেন অসমের শিলচরের কলেজে এক বাঙালি অধ্যাপক। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিল্লির হিংসায় সম্প্রীতির ছবি, মুস্তফবাদে মুসলিম পরিবার রক্ষা করল ব্রাহ্মণ পরিবারকে
আরও পড়ুন: ভালবাসার দিনে পরিণয় বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ,দিল্লির হিংসা ১২ দিনেই কেড়ে নিল স্বামীকে
অসমের শিলচরের গুরুচরণ শীল কলেজের অতিথি অধ্যাপক সৌরদীপ সেনগুপ্ত। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে দিল্লিতে হিংসার ঘটনা নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি। লেখেন, 'এক গণহত্যাকারীকে আমরা দু'বার নির্বাচন করেছি।' আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। কলেজে গেলে ওই অধ্যাপককে ঘিরে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করে ফের ফেসবুকে পোস্ট দেন সৌরদীপ। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি। পরিবারের লোকেদের দাবি, স্রেফ পোস্ট দিয়েই নয়, ফেসবুকে লাইভ করে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সৌরদীপের বাড়িতে চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। তখন অবশ্য বাড়ি ছিলেন না তিনি। এরপর বাড়িতে ফিরতেই তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক সৌরদীপ সেনগুপ্ত কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। কলেজ জীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র সংসদের সহকারী সম্পাদকও ছিলেন তিনি। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার হিংসার পর ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দিল্লি। শনিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় খুলেছে দোকান-পাঠ। শিথিল করা হয়েছে কার্ফুও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আর নতুন করে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি।