রাজ্যসভার ভাষণের রেশ টেনেই আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন কংগ্রেস নেতা গুলামনবি আদাজ। জম্মু ও কাশ্মীরের একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যেই মোদীর প্রশংসার পাশাপাশি নাম না করে গান্ধীদের দল পরিচালনা নিয়ে সরব হন তিনি। অনুষ্ঠানে গুলামনবি আজাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে বলেন নিজের জীবনের সত্য তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী কখনই পিছপা হন না। আর মোদীর এই দৃঢ়চেতা মনোভাবই তিনি পছন্দ করেন বলেও জানিয়েছেন গুলামনবি আজাদ।
গুলামনবি আজাদ বলেন, তিনি অনেক নেতার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। তিনি একটি গ্রাম থেকে এসেছেন। তারপরই তিনি বলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীও গ্রাম থেকে এসেছেন। আর একটা সময় তিনি চা বিক্রি করে অন্ন সংস্থান করতেন। সেটাকে তিনি কথনই লুকিয়ে রাখেননি। নিজের জীবনের সত্যটাই তিনি তুলে ধরেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বিষয়টি তাঁকে অনুপ্রেরণা দেয়। সত্যির মুখোখমুখি হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যাঁরা বুদবুদের ওপর রয়েছেন। গুলামনবি আজাদ আরও বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক কিছু দেখেন তিনি। বিশ্বের অনেক জায়গায়ই গেছেন। পাঁচ তারা এমনকি সাতরাতা হোটেলেও দিন কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনি যখন তাঁর গ্রামের মানুষের সান্নিধ্যে আসেন তখন একটা অন্য অনুভূতি হয় তাঁর। যার সঙ্গে আর কোনও কিছুরই তুলনা করা যায় না।
চলতি মাসেই রাজ্যসভার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হয়েছে কংগ্রেস নেতা গুলামনবি আজাদের। রাজ্যসভায় তাঁর শেষ ভাষণ মন কেড়ে নিয়েছেন শ্রোতাদের। চোখে জল এনেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। সেই সময়েই গুলামনবি আজাদ রাজীব গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে নাম নিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ীর। তিনি জানিয়েছিলেন এঁদের থেকে তিনি অনেককিছু শিখেছেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন গুলামনবি আজাদ তাঁর সত্যিকারের বন্ধু। গুলামনবি আজাদের রাজনৈতিক পরামর্শ তাঁর প্রয়োজন।
তাই আগামী দিনে আজাদ যেন তাঁর পাশেই থেকেন।
তবে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য কিছুটা হলেও উদ্বেগ বাড়ছে দলের ভিরতে। বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতা বলেছেন কংগ্রেস দুর্বল হচ্ছে। কপিল সিব্বালও কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার জন্য তাঁরা একসঙ্গে কাজ করতে চান। আজাদ সম্পর্কেও কপিল সিব্বাল বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই রাজনীতিতে রয়েছেন গুলামনবি আজাদ। দল সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়নও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। দলের স্থায়ী সভাপতি ইস্যুতে কংগ্রেস দুটি ভাগে ভাগ হয়েগেছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও স্থায়ী সমাধানে আসতে পারেনি শতাব্দী প্রাচিন দলটি।