Pune Miracle Tree: কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে গড়িয়ে পড়ছে জল, অলৌকিক ঘটনা?

Published : Jun 11, 2025, 03:31 PM ISTUpdated : Jun 11, 2025, 03:34 PM IST
Royal poinciana

সংক্ষিপ্ত

Pune Holy Water: সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল গাছের গুড়ি দিয়ে পবিত্র জলধারা, আসলে পাইপ লাইনের জল। পুনের এই ভাইরাল ঘটনা আমাদের সচেতন করে, সব কিছুর প্রতি আধ্যাত্মিক বিশ্বাস বা চেতনা জাগিয়ে তোলার আগে একবার বিশ্লেষণ করে দেখা নেওয়া উচিত।

Pune Miracle Tree Holy Water: মানুষের ধর্মীয় আধ্যাত্মিক বিশ্বাস তার একান্তই ব্যক্তিগত। তবে কোনও কিছুর প্রতি আধ্যাত্মিক বিশ্বাস বা চেতনা জাগিয়ে তোলার আগে একবার বিশ্লেষণ করে দেখা নেওয়া উচিত। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনে শহরের প্রেমলোক পার্কে এমনই এক ঘটনা সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। একটি কৃষ্ণচূড়া গাছকে ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক বিশ্বাস, যা পরে এক সাধারণ ত্রুটির কারণে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

কী ঘটেছিল?

প্রেমলোক পার্কে দীর্ঘদিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ হঠাৎ করেই স্থানীয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যখন দেখা যায় গাছের গুঁড়ির একটি অংশ থেকে অবিরাম জল ঝরছে। আশ্চর্যের বিষয়, জল ঝরা থামছে না—সেই জল পড়ছেই। এই অদ্ভুত দৃশ্যকে অনেকেই ‘অলৌকিক’ ঘটনা হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করতে শুরু করেন—এই জল সাধারণ নয়, বরং পবিত্র। অনেকের ধারণা, এই জল স্পর্শ করলে বা পান করলে নানা রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই গাছের মাহাত্ম্য। পুজো শুরু হয়—সিঁদুর, হলুদ, ধূপ-ধুনো দিয়ে গাছকে পূজিত করা শুরু হয়। জলকে তীর্থজল হিসেবে মাথায় ছোঁয়ানো, পান করা, শিশুর মুখে দেওয়া - উঠে আসে এমন চিত্রও। এই ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই তা শেয়ার করেন ‘ঈশ্বরের লীলা’ বলে। আশেপাশের অঞ্চল থেকেও মানুষ আসতে শুরু করেন গাছ দেখতে ও জল সংগ্রহ করতে। অলৌকিক জলধারা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে।

কী বলছেন পুর আধিকারিকরা?

প্রেমলোক পার্কের ওই গাছ রাতারাতি ঈশ্বর জ্ঞানে পূজিত হওয়া শুরু হওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সেখানে হাজির হন পুর আধিকারিকরা। তাঁরা সব পরীক্ষা করে যা জানান, তারপর অবশ্য সেই গাছকে ঘিরে তৈরি হওয়া অলৌকিক গাথায় ভাঁটা পড়ে। কারণ, পুর আধিকারিকরা জানিয়ে দেন, ওই গাছটির তলা দিয়ে একটি জলের পাইপ লাইন রয়েছে। সেটিতে ফুটো হওয়ায় জল বার হচ্ছিল। যা গাছের গুঁড়ির ফাঁক পেয়ে সেখান দিয়ে বার হতে শুরু করে। যা দেখে স্থানীয়রা বিষয়টিকে অলৌকিক বলে মনে করতে শুরু করেন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

দশ হাজার নয়, এক লাখ দিলেও মুসলিমরা আমাকে ভোট দেবে না: অসমের মুখ্যমন্ত্রী
বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য NH-64 ও রেললাইনের উপর স্টিল ব্রিজ চালু, জানুন কীভাবে তৈরি হয়েছে এটি