মহারাষ্ট্রের পুনেতে পোর্শে দুর্ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। কিশোর চালকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে কিশোরকে বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পরিবার।
পুনেতে পোর্শে দুর্ঘটনায় নয়া মোড়। পুনে পোর্শে কাণ্ডে এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার দিন সেই কিশোরের হাতে ছিল না গাড়ির স্টিয়ারিং। গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক, পুলিশি জেরায় দায় স্বীকার। গত রবিবার পুনের কল্যাণ নগর এলাকায় দুজন ইঞ্জিনিয়ার, অনীশ আওয়াধিয়া এবং অশ্বিনী কোস্তাকে পিষে দেয় সেই ঘাতক পোর্শে গাড়িটি। অভিযোগের তীর ওঠে এক ১৭ বছরের কিশোরের দিকে। পানশালা থেকে মদ্যপ অবস্থায় বেরিয়েছিলেন সেই কিশোর এবং সঙ্গে ছিল তাঁর দুই বন্ধু। আর তার জেরেই এই ভয়ঙ্কর পরিণতি। এই ঘটনার পরই একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ এবং শুরু হয় তদন্ত।
কিশোর চালকের বিরুদ্ধে তদন্ত
প্রাথমিকভাবে সেই কিশোর জামিন পেয়ে গেলেও, পরে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ঘটনার পর সেই কিশোরের বন্ধু, বাবা এবং দাদুকেও জেরা করে পুলিশ। কিশোরের বাবা ইমারত ব্যবসায়ী বিশাল আগরওয়াল পুলিশকে জানান, তাঁর ছেলে স্টিয়ারিং হাতে ছিলেন না। বরং গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাদের চালক। এই যুক্তিকে সমর্থন করেন সেই সময় গাড়িতে থাকা কিশোরের দুই বন্ধুও।
দায় স্বীকার চালকের
এদিকে পুনের আগরওয়াল পরিবারের গাড়ি চালককেও দফায় দফায় জেরা করে পুলিশ। সেইসঙ্গে কিশোরের বাবা বিশাল আগরওয়ালের ফোনের কল রেকর্ডও খতিয়ে দেখা শুরু করেন আধিকারিকরা। অন্যদিকে, ছেলে এবং নাতির জীবনযাত্রা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে দাদু সুরেন্দ্র কুমারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এরই মাঝে জেরায় দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করে নিলেন সেই গাড়ির চালক। কিশোরের বাবা এবং তাঁর বন্ধুরা প্রথম থেকেই গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। শেষপর্যন্ত, পুলিশি জেরায় দায় স্বীকার করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৯ মে গাড়িটির গতিবেগ ছিল প্রায় ১৬০ কিমি/প্রতি ঘণ্টা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ভালো ফল করার আনন্দেই মদ্যপানে মেতে ওঠেন ১৭ বছরের কিশোর এবং তাঁর বন্ধুরা। অন্যদিকে, ঘটনায় মৃত অনীশের মা অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলেকে খুন করছে ওই কিশোরই। তারই মাঝে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, পুলিশি জেরায় এই ঘটনার দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন গাড়ির চালক।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।