
পাঞ্জাব বন্যা বিপর্যয়: পাঞ্জাব এই মুহূর্তে ভয়াবহ বন্যার কবলে। সতলুজ, বিয়াস, রাবির মতো বড় বড় নদী বন্যায়, শত শত গ্রাম প্লাবিত। জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট জলের তলায়। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে ব্যাপক সমস্যা। এ পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যু, হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন। সরকার ও প্রশাসন কি এই সঙ্কট মোকাবেলায় প্রস্তুত?
ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর বন্যায় পাঞ্জাবের ২৩ টি জেলার প্রায় ১৬৫৫ টি গ্রাম জলমগ্ন। ৩.৭৫ লক্ষ একর কৃষি জমি পানির নিচে। চাষীর ফসল নষ্ট, পশুর ব্যাপক ক্ষতি। যে মাটির বাঁধের উপর গ্রামবাসীর আশা ছিল, তাও ভেঙে গেছে।
গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ ব্যাহত। নৌকা ও অস্থায়ী ব্যবস্থায় মানুষকে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু অনেক গ্রাম এখনও অপেক্ষায়। প্রশাসন কি সব জায়গায় সাহায্য পৌঁছে দিতে পারছে?
কৃষিকাজ পাঞ্জাবের মেরুদণ্ড, কিন্তু এই বন্যায় কৃষকের সর্বনাশ। ফসল নষ্ট হওয়ায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি। গ্রামবাসীর ঘরবাড়ি ধ্বংস, পশু পাখি ও ভেসে গেছে। কৃষকরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে রা reliefত প্যাকেজ চাইছে।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান পাঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসছেন। তিনি কৃষক ও বন্যা দুর্গতদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করবেন। এই দর্শন থেকে রা reliefত প্যাকেজ ঘোষণার আশা করা হচ্ছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ পাঞ্জাবে বন্যা প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করবেন। তার সাথে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, এই দর্শন শুধু ত্রাণ কাজের জন্য নয়, রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
পাঞ্জাব সরকার কেন্দ্রের কাছে ২০ হাজার কোটি টাকার অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণ প্যাকেজ চেয়েছে। আপ নেতাদের বক্তব্য, কৃষক ও বন্যা দুর্গতদের তাৎক্ষণিক সাহায্য প্রয়োজন। রাহুল গান্ধী ও লোকসভায় বিশেষ ত্রাণ প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন। এখন সবার নজর কেন্দ্রের ঘোষণার দিকে।
পাঞ্জাবের বন্যা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, রাজনৈতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে প্যাকেজ ও তহবিল নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।