চিরাচরিতভাবে চুড়ি, টিপ, লিপস্টিক, সালোয়ার-কামিজ পরেই পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন ‘পরমজিৎ কৌর’ । তাঁকে পাকড়াও করে চাপ দিতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।
সঙ্গে রয়েছে সচিত্র পরিচয়পত্র, নামও লেখা রয়েছে পরমজিৎ কৌর, ছবির সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে মুখের আদলও, কিন্তু, কিছুতেই মিলছে না একটি বিশেষ প্রমাণ। কী সেই প্রমাণ? সেটি ধরা পড়তেই দেখা গেল তাজ্জব কাণ্ড! ‘প্রেমিকা’ নন, আসলে তিনি ‘প্রেমিক’! ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের ফরিদকোটে।
-
ফরিদকোটের কোটকাপুরার ডিএভি পাবলিক স্কুলে বাবা ফরিদ ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস-এ চিরাচরিতভাবে চুড়ি, টিপ, লিপস্টিক, সালোয়ার-কামিজ পরেই পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন ‘পরমজিৎ কৌর’ । কিন্তু , পরিচয়পত্র দাখিল করার পর নাম, ছবি, ইত্যাদি তথ্য মিলে গেলেও কিছুতেই মিলছিল না হাতের আঙুলের ছাপ। সেখান থেকেই সন্দেহের উদ্রেক হয় কর্মকর্তাদের মনে।
-
৭ জানুয়ারি, বহুমুখী স্বাস্থ্যকর্মীদের পরীক্ষায় পরমজিৎ কৌর নাম নিয়ে আগত পরীক্ষার্থীকে পাকড়াও করে চাপ দিতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। তিনি আসলে কোনও মহিলাই নন। সালোয়ার-কামিজ, লিপস্টিক পরে আসা একজন পুরুষ। আসলে তিনি ছিলেন, পরমজিৎ কৌর নামের পরীক্ষার্থীর প্রেমিক আংরেজ সিং। নিজের প্রেমিকাকে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় প্রেমিকা পরমজিতের জায়গায় আংরেজ সিং নিজেই মহিলা সেজে চলে এসেছিলেন পরীক্ষা দিতে।
-
আংরেজ-এর কাছে নিজের ছবি দিয়ে পরমজিৎ নাম লেখা ভোটার এবং আধার কার্ডও ছিল। প্রাথমিকভাবে তাঁকে সন্দেহ করার মতো কোনও প্রমাণই ছিল না। কিন্তু, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে বায়োমেট্রিক ডিভাইসে তার আঙুলের ছাপ একাধিকবার না মিলতেই প্রকৃত প্রার্থী হিসেবে তাঁকে সন্দেহ করেন কর্মকর্তারা। তারপর পুলিশের হাতে তাঁকে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
আংরেজের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং পরমজিতের পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।