করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছে চিনে। মারণ এই ভাইরাস ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশে। বাদ যায়নি ভারত। ইতিমধ্যে কেরলে করোনা আক্রান্ত তিন জনের চিকিৎসা চলছে। করোনাকে 'রাজ্য বিপর্যয়' ঘোষণা করেছে কেরল সরকার। দেশ জুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বিমানবন্দরে নোভেল করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করতে বসানো হয়েছে বিশেষ স্ক্যানার। এরমধ্যেই পঞ্জাবে চিন থেকে ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে দেখা গেল কোরানার উপসর্গ।
কোটকাপুরার শহরের বাসিন্দা বছর ৩৮-এর ওই ব্যক্তি সম্প্রতি কানাডা থেকে চিন হয়ে ভারতে ফেরেন। তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের বেশকিছু উপসর্গ দেখা গেলেও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে রাজি হননি এই ব্যক্তি। ফরিদকোর্টের গুরু গোবিন্দ সিং মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে সাফ না করে দেন তিনি। এর পরেই ফরিদকোর্ট প্রশাসন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
আরও পড়ুন: বাসভবন থেকে সোজা সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কথা ভেবে তৈরি হচ্ছে নতুন টানেল
২ দিন আগেই দেশে ফিরেছেন ওই ব্যক্তি। কানাডা থেকে দেশে ফেরার পথে সাংহাই বিমানবন্দরে পরবর্তী বিমানের জন্য প্রায় নয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে। এই সাংহাই করোনা এপিসেন্টার উহান থেকে ৬৯১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গত সোমবার করোনা ভাইরাসের বেশকিছু উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসেন তিনি। ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষার জন্য পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠান হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে অনর্গল বাংলা বলে ভাইরাল হলেন জাপানি কন্যা, খেতে ভালবাসেন সর্ষে ইলিশ
রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে ফরিদাবাকোর্টের গুরু গোবিন্দ সিং মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি বলে জানান ওই হাসপাতালের চিকিৎসক রঞ্জন বাদওয়ার। এরপরেই বিষয়টি প্রশাসনকে জানান হয়। যে কোন মূল্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা বলেন ডেপুটি কমিশনার। এরপরেই ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বর্তমানে এই রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানাচ্ছেন গুরু গোবিন্দ সিং মেডিক্যাল কলেজের সুপারিন্টেনডেন্ট চিকিৎসক রাজীব যোশী। আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাঁকে পর্যবক্ষেণ রাখা হয়েছে। পুণে থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বাদবাকি চিকিৎসা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।