ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি রানির সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিয়ে মোদী বলেছেন, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে ব্রিটেন সফরের সময় তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি।
ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি রানির সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা দিয়ে মোদী বলেছেন, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে ব্রিটেন সফরের সময় তিনি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। সেই বৈঠেকও তাঁর কাছে স্মরনীয় হয়ে রয়েছে। রানির ব্যবহার তাঁকে মুগ্ধ করেছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। মোদী আরও জানিয়েছেন এই বৈঠকে রানি তাঁকে মহাত্মা গান্ধীর দেওয়া তাঁর বিয়ের উপকারের রুমালও দেখিয়েছিলেন। রানির আতিথেয়তা তাঁকে মুগ্ধ করেছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও একটি টুইটে মোদী লিখেছেন, রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ আমাদের সময়ের একজন অকুতোভয় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি তার জাতি ও জনগণকে অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। তিনি জনজীবনে মর্যাদা ও শালীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তার মৃত্যুতে ব্যথিত। আমার চিন্তাভাবনা এই দুঃখের সময়ে তার পরিবার এবং যুক্তরাজ্যের জনগণের সাথে রয়েছে।
অন্যদিকে রানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রিটেনের বাসিন্দা ও রাজপরিবারকে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, 'রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। ব্রিটিশ রাজপরিবার ও ব্রিটেনের জনগণকে আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। দীর্ঘদিন রাজত্ব করার পর ব্রিটিশ রানির মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান ঘটেছে।'
সদা হাস্যময় এক রানি, যিনি গত ৮ দশক ধরে বিশ্বজুড়ে ছিল ব্রিটিশ রাজ পরিবারের গরিমার মুখ হিসেবেই নিজেকে উপস্থিত করেছেন। তিনি একাধিক ঝড়ও হাসি মুখে সামলেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ব্রিটেনবাসী। আবারও ব্রিটেনবাসী প্রমাণ করলে রাজপরিবার তাঁদের দেশের গণতন্ত্রেরই অংশ। রানির মৃত্যুতে তাঁরা যে অভিভাবক হারিয়েছেন সেই কথাই ফিরছে প্রতিটি নাগরিকের মুখে।
ব্রিটেনের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে টুইট করে জানান হয়েছে 'রানি আজ বিকেলে মারা গেছেন। আজ সন্ধ্যায় বালমোরালে শায়িত থাকবেন তিনি। আগামিকাল লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ।' বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার ডাক্তাররা তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই রাজপরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠরা স্কটল্যান্ডে চলে যায়। পরিবারের সকল সদসয্ই শেষ সময় রানির পাশে উপস্থিত ছিলেন। ব্রিটেনের রাজপরিবার থেকে দূরত্ব বাড়লেই হ্যারি ও মেগান মার্কলে শেষ সময়ে রানির পাশে উপস্থিত ছিলেন।