গোলামির আরও একটি প্রতীক থেকে মুক্ত হল ভারত। কর্তব্যপথে নেতাজির মূর্তি উন্মোচন করে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, নেতাজির আদর্শে যদি ভারত স্বাধীনতার পর থেকে পথ চলত তাহলে ভারত অনেক এগিয়ে যেত।
গোলামির আরও একটি প্রতীক থেকে মুক্ত হল ভারত। কর্তব্যপথে নেতাজির মূর্তি উন্মোচন করে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, নেতাজির আদর্শে যদি ভারত স্বাধীনতার পর থেকে পথ চলত তাহলে ভারত অনেক এগিয়ে যেত। কিন্তু স্বাধীনতার পর তৎকালীন সরকার নেতাজিকে যোগ্য সম্মান দেয়নি বলেও অভিযোগ। তিনি আরও বলেন আজ রাজপথ কর্তব্যপথ হয়েছে। জর্জ পঞ্চমের মূর্তি সরিয়ে দিয়ে নেতাজির মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এটি দেশের স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। তিনি আরও বলেন এটাই একমাত্র উদাহরণ নয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ঠিকানাও বদল হয়েছে। রেসকোর্স নাম সরিয়ে দিয়ে লোককল্যাণ মার্গ রাখা হয়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজপথ ছিল ব্রিটিশ শাককের প্রতীক। সেখান দিয়ে একজন ভারতীয় গেলেও তাঁর নিজেকে গোলাম মনে হয়। কারণ একটা সময় এই পথ দিয়ে রাজা অর্থাৎ ব্রিটিশরাই যাতায়াত করত। কিন্তু বর্তমানে রাজপথ গোলামির প্রতীক থেকে মুক্ত। এই পথ এখন কর্তব্য পথ হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে সাংসদ, আধিকারিক বা মন্ত্রীরা যখন যাবেন তখন তাদের দেশের প্রতি কর্তব্যের কথা মনে করাবে। তিনি আরও বলেন, এজাতীয় গোলামির সমস্ত প্রতীক থেকেই ভারতকে মুক্ত করা হবে। মোদী আরও বলেন তিনি ও তাঁর সরকার নেতাজির আদর্শেই পথ চলেন। তাই দেশ প্রগতির পথে চলছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সমস্ত নাগরিকদের কর্তব্যপথ এসে দেখার প্রস্তাব দিয়েছেন। বলেছেন এই পথ দেখলে দেশের উন্নয়নের কথা মনে করাবে। এই পথ আর আলো আগামীর কথা বলছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন সম্প্রতি নৌসেনা বাহিনী গোলামির প্রতীক থেকে মুক্ত হয়েছে। বদল করা হয়েছে নৌ সেনার পতাকা। তিনি বলেন ভারতের তৈরি বিক্রান্ত রণতরী বর্তমানে স্বাধীন দেশের গর্ব। কথা প্রসঙ্গে তিনি বিটিং দ্যা রিট্রিটের দেশীর গানের কথাও তুলে ধরেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভারত মাতা জয় স্লোগান তোলেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, ও বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনি উপস্থিত হয়নি।
মমতা জানিয়েছেন, 'আজ সন্ধ্যে ৭টায় মূর্তি উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর আমাকে সন্ধ্যে ৬টার মধ্যে সেখানে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের দাসখত লেখা শ্রমিক?' এভাবেই প্রথা মেনে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। এখানেই শেষ নয়, তিনি নেতাজি ইন্ডোরের সভায় উপস্থিত হয়ে বলেন, তিনি কেন্দ্রের অনুষ্ঠানের আগেই রেডরোডে নেতাজির মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তারপরই তিনি দলীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
বিস্তারিত আসছে...