কেরলের ওয়াইনাদ সফরের দ্বিতীয়দিনে এসেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন তিনি বলেন, গোটা লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদী কেবল মিথ্যাচার, ঘৃণা এবং হিংসাই ছড়িয়েছেন। অন্যদিকে কংগ্রেস ছড়িয়েছে কেবলই সত্য ও ভালবাসা।
প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি ভোটে ওয়ানাড় থেকে জয়ী হয়েছেন রাহুল। এবারই এখান থেকে প্রথম প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তাতেই এই বিপুল। অথচ সংসদীয় রাজনীতিতে পৌঁছে গিয়েছিল যেখানকার মানুষ যেই অমেঠিই এবার মুখ ফিরিয়েছেন রাহুলের থেকে। আর এবার সেই ওয়ানাড়েই স্বমেজাজে ফিরে এলেন রাহুল গান্ধী। আর এদিন তিনি মোদীকে কার্যত এক হাত নিলেন।
কেরলের কলপেট্টা শহরে একটি বিরাট রোড শো-এর পর এদিন কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন যে, তাঁরা একজোট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছড়ানো হিংসা এবং মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তাঁরা লড়বেন এবং এই লড়াইয়ের পথে তাঁদের সঙ্গী হবে কেবলই ভালবাসা। প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের আগে রাফাল নিয়ে আক্রমণ এবং 'চৌকিদার চোর হ্যায়' কোনও স্ট্র্যাটেজিই ধোপে টেকেনি। কংগ্রেসের অন্দরেও রাহুল গান্ধীর এই নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজিই তাঁর হেরে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়েছিল। পরে অবশ্য হারের দায়ভার মাথায় নিয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফাও দিতে চান রাহুল। কিন্তু ওয়ার্কিং কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে ইস্তফা গ্রহণ করা হয়নি।
এদিনের রোড শো শেষে রাহুল আরও বলেন, দেশের মানুষের আবেগ নিয়ে খেলছেন মোদী। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর হয়তো অনেক টাকা থাকতে পারে, মিডিয়া তাঁর সঙ্গে থাকতে পারে, বা তার হয়তো অনেক বড়লোক বন্ধুবান্ধব থাকতে পারে, কিন্তু দেশের মধ্য বিজেপি সরকার যে অসিষ্ণুতার বাতাবরণ গড়ে তুলেছে, তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই জারি থাকবে বলেও জানান তিনি। আমেঠির হার যে তিনি এখনও মেনে নিতে পারেননি তিনি এদিন তাঁর কথায় তা স্পষ্ট।