
১৮তম লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন রাহুল গান্ধী। সোনিয়া গান্ধী মঙ্গলবার লোকসভার প্রোটেম স্পিকারকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন। এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সদস্যরা বৈঠক করেন। সেখানেয়ই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা কেসি বেনুগোপাল সাংবাদিকদেরমুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, 'কংগ্রেসের পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারপার্সেন সনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মাহতাবকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।' এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী নজিরবিহীনভাবে সংবিধান হাতে নিয়ে শপথবাক্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, 'আমি, রাহুল গান্ধী, হাউস অফ পিপল-এর সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর, দৃঢ়ভাবে দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা করছি যে আমি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ভারতের সংবিধানের প্রতি সত্যিকারের বিশ্বাস ও আনুগত্য রাখব, যে আমি ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে সমুন্নত রাখব, এবং যে দায়িত্বে আমি প্রবেশ করতে যাচ্ছি তা আমি বিশ্বস্ততার সাথে পালন করব, জয় হিন্দ।'
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বড় বিতর্কে জড়ালেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, যেতে পারে তাঁর সাংসদ পদ
প্রায় এক দশক পরে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার পদ ফিরতে চলেছে। কারণ ২০১৪ সালে মাত্র ৪৪টি আর ২০১৯ সালে ৫৩টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসই ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। তাই বিরোধী দলনেতার মর্যাদা দেওয়া হয়নি কাউকে। এবার কংগ্রেস ৯৯টি আসন জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে। আর সেই কারণে প্রায় এক দশক পরে লোকসভায় ফিরতে চলেছে বিরোধী দলনেতার পদ। বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সমান মর্যাদা পান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মতই সুবিধে পান। মঙ্গলবার খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলের প্রধান হিসেবে মেন নেন তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টিসহ বিরোধী দলের নেতারা। সেই বৈঠকেও ওম বিড়লার বিরুদ্ধে কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশকে প্রার্থী হিসেবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটের সদস্যরা।
Watch Video: তৃণমূল সাংসদের 'জয় গুজরাট' স্লোগান, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পাঠানের গুগলি