কর্ণাটকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মধ্যমণি রাহুল গান্ধী, স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপি বিরোধী জোট- দেখুন ছবিতে

 কর্ণাটকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মধ্যমণি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতাদের পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী দলগুলির কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।

কর্ণাটকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি বিরোধী জোটের কাঠামো অনেকেটাই প্রস্তুত। উপস্থিত নীতিশ কুমার, সীতারাম ইয়েচুরিরা। ছিলেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন কেরলে কংগ্রেসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পিনারাই বিজয়ন।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও ডিকে শিবকুমারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বর্তমানে জাপান সফরে। সেখানেই তাঁদের দুজনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে দ্বৈরথ চলছিল ডিকে শিবকুমার আর সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে। সনিয়ার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। খোলা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ডেপুটির মধ্যে ঐক্যের ছবি তুলে ধরেন রাহুল গান্ধী।

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেই সিদ্দারামাইয়া বলেন, পাঁচটি প্রতিশ্রুতি পুরণের জন্য প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই আদেশ জারি করবেন তিনি। আমরা এমন একটি প্রশাসন দেব যা জনগণ আমাদের কাছ থেকে আশা করেছিল। পাঁচটি গ্যারান্টি মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাস করা হবে এবং আজকেই সেগুলি বাস্তবায়নের জন্য একটি আদেশ জারি করা হবে।

প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে। কর্ণাটকের শপথ গ্রহণ মঞ্চ থেকে আবারো ঘোষণা করলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম আমরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেই না। আমরা যা বলি তাই করি। এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে পাঁচটি 'গ্যারান্টি' আইনে পরিণত হবে।

কংগ্রেসের কর্ণাটক জয়ের কারণও জানালেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে আপনি যে কষ্ট সহ্য করেছেন তা আমরা বুঝতে পারি। কেন কংগ্রেস নির্বাচনে জিতেছে তা নিয়ে মিডিয়া লিখেছে। বিভিন্ন বিশ্লেষণ এবং বিভিন্ন তত্ত্ব ভেসে উঠেছে। তবে জয়ের কারণ হল কংগ্রেস দরিদ্র, দুর্বল এবং পিছিয়ে পড়াদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলিত ও উপজাতির মানুষ ভরসা করে কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে।

কর্ণাটক নিয়ে বিজেপির সমালোচন। বিজেপি বলেছে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার হাতে কোনও ক্ষমতা থাকবে না। তিনি পুতুল মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ক্ষমতা থাকবে দিল্লির শীর্ষনেতৃত্বের হাতে।

বিজেপির দাবি মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষমতাও সিদ্দারামাইয়ার হাতে নেই। রয়েছে মল্লিকার্জুন খাড়গের হাতে। কর্ণাটক সরকার দিল্লি থেকে পরিচালিত হবে বলেও অভিযোগ বিজেপির।

কর্ণাটকে বড় জয় পেয়েছ বিজেপি। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ১৩৫টি আসন কংগ্রেসের। জেডিএস ১৯ আর বিজেপি পেয়েছে ৬৫টি আসন।