
কংগ্রেসের নিশানায় আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতারা সরাসরি আক্রমণ করেন দেশের বিজেপি সরকারকে। সম্মেলনের প্রথম সারিতেই ছিলেন প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে বদ্ধ পরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা করেছেন। দলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পাশাপাশি নির্বাচনী বন্ড নিয়েও মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয় কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, জোর দলের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পয়সা জোর করে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার পদ্ধতিগত চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, তাদের দলের অধিকাংশ অ্যারাউন্টই হিমায়িত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্যযোগ্য গত সপ্তাহে আয়ক দফতর ১৯৯৪-৯৫ সালের জন্য মূল্যায়ণ পুনরায় খোলার জন্য কংগ্রেসকে একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে কংগ্রেস ২০১৮-১৯ সালের ট্যাক্সের দাবি সংক্রান্ত একটি আয়কর দফতরের মামলায় আগে থেকেই জড়িয়ে রয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন সাংবাদিক সম্মেললনে সরব হন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার লাগাতার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের আর্থিকভাবে অসহায় করে দিতে চাইছেন। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রের এই প্রচেষ্টার প্রভাব পড়ছে দেশের গণতন্ত্রের ওপর। এটি গণতন্ত্রকেও ফ্রিজ করে দিতে চাইছে। তিনি আরও বলেছেন, 'একদিকে, নির্বাচনী বন্ড ইস্যু রয়েছে, যা সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনী বন্ডগুলি বিজেপিকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করেছে। অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অর্থ একটি নির্ধারিত আক্রমণের অধীনে রয়েছে।' তিনি বলেন, এটি নজিরবিহীন ও অগণতান্ত্রিক।
Weather News: চৈত্রেই বর্ষার আমেজ, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মার্চ মাসে গায়ে উঠেছে সোয়েটার
সোনিয়া গান্ধীর পরই আক্রমণে সরব হন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় দল সমস্যায় পড়েছে। ভোট প্রচারে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অর্থ। তিনি বলেন, কংগ্রেসের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়। প্রচারের কারণে নেতাদের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পাঠানোর জন্য ট্রেনের টিকিট কাটার মত পয়সা কংগ্রেসের নেই। তিনি আরও বলেন, 'দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে আসতে দেশের গণতন্ত্রকে হিমায়িত করা হয়েছে। সবথেকে বড় বিরোধী দল হিসেবে আমরা কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছি না। ' তিনি আরও বলেন নির্বাচনী বিজ্ঞাপন দিতেই সমস্যা হচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের ওপর হামলা। তিনি আরও বলেছেন, এই ঘটনার পিছয়ে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের আপরাধমূলক পদক্ষেপ।
দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, বিজেপি বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে। এটি একটি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সব রাস্তা খুলে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, সব রাজনৈতিক দলের জন্য যাতে একই নিয়ম প্রযোজ্য হয় তাও দেখা জরুরি।