খাড়গকে লেখা চিঠিতে আনন্দ শর্মা বলেছেন, কংগ্রেস কখনই পরিচয়ের রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এজাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস কখনই সমর্থন করেনি
লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও প্রকট কংগ্রেস বনাম কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব। এবার বর্ণ শুমারি নিয়ে কংগ্রেসের প্রবীন নেত আনন্দ শর্মা সরাসরি নিশানা করেন রাহুল গান্ধীকে। পাশাপাশি এই বিষয়ে নিয়ে দলীয় লাইনেরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। আনন্দ শর্মা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে একটি চিঠি লিখে জানিয়েছেন, বর্ণ শুমারি সমাজের বেকারত্ব ও বৈষম্যের সমাধান করতে পারবে না।
আনন্দ শর্মা এমন সময় এই চিঠি দলের শীর্ষ নেতাদের লিখেছেন, যখন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ক্ষমতায় আসলে দেশজুড়ে বর্ণ শুমারি প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। আগে বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বর্ণশুমারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার করেছিলেন রাহুল গান্ধী।
খাড়গকে লেখা চিঠিতে আনন্দ শর্মা বলেছেন, কংগ্রেস কখনই পরিচয়ের রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এজাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস কখনই সমর্থন করেনি। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের নিজের পূর্বের বা ঐতিহাসিক অবস্থান থেরে সরে যাওয়া আগামী দিনে উদ্বেগের বিষয়ে হয়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, দলের অবস্থানের প্রকাশ ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিৎ। তিনি আঞ্চলিক ও বর্ণের ওপর ভিত্তি করে দল যে অবস্থান নিচ্ছে তার থেকে সরে আসার কথাও বলেথেন। রাহুল গান্ধী সর্বদাই বর্ণশুমারির কথা বলেছেন। অনেকেই মনে করছেন খাড়গেকে চিঠি লিখে আনন্দ শর্মা মূলত রাহুল গান্ধীকেই নিশানা করতে চেয়েছেন। আনন্দ শর্মা জি২৩ গ্রুপের সদস্য। যারা করোনাকালে কংগ্রেসের স্থায়ী সভাপতি চেয়ে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন। পাশাপাশি গান্ধী পরিবারের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ
Weather News: চৈত্রেই বর্ষার আমেজ, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মার্চ মাসে গায়ে উঠেছে সোয়েটার
আনন্দ শর্মা তাঁর চিঠিতে আরও বলেছেন, 'স্বাধীনতার পরে, সমস্ত আদমশুমারি কমিশনাররা ওভারল্যাপ, নকল, সঠিকতার অভাব এবং সন্দেহজনক সত্যতা উল্লেখ করে একটি জাতীয় জাতি শুমারির অস্বীকৃতির কারণ এবং অস্বীকৃতি লিপিবদ্ধ করেছেন। আমার বিবেচনায়, একটি বর্ণ আদমশুমারি একটি নিরাময় বা বেকারত্বের সমাধান হতে পারে না এবং বিরাজমান বৈষম্য। এই সমালোচনামূলক এবং সংবেদনশীল বিষয়ে সময়ের সম্মানিত নীতি থেকে একটি মৌলিক প্রস্থানের প্রধান দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় প্রভাব রয়েছে।' তিনি আরও বলেছেন, কংগ্রেস দৃঢ়়ভাবে স্বচ্ছতা, গণতান্ত্রিক আলোচনা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর বিশ্বাস করে।