লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে রাহুল গান্ধীর নিশানায় রাজনাথ সিং
চিনারা কী ভারতীয় অঞ্চল দখল করেছে
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেন রাহুল
কলকাতায় অমিত শাহর নিশানায় রাহুল
লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ক্রমশই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সোমবারই লাদাখ প্রশ্নে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই আবারও সরব হলেন তিনি। গতকাল তাঁর নিশানায় ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তাঁর নিশানায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনথ সিং। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে জানতে চান 'চিনারা কী লাদাখের ভারতীয় অঞ্চল দখল করেছে? ' তার আগে অবশ্য তিনি বলেছেন 'হাত' প্রসঙ্গে যখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন তখন এই প্রশ্নেও জবাব দেওয়া উচিৎ।
লাদাখ ইস্যুতে বেশ কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে দেশে রাজনৈতিক মহলে। লাদাখে কী হচ্ছে তা জানতে চেয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। রবিবার বিহারের ভার্চুয়াল সভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রীতিমত নিশানা করেন পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে। তিনি বলেন, আগে সীমান্ত পার হয়ে জঙ্গিরা এসে দেশের সৈনিকদের শিরোচ্ছেদ করত। কিন্তু মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু হয়েছে। আগের দিল্লির সরকার রীতিমত উদাসীন ছিল বলে অভিযোগও করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন সীমান্ত সুরক্ষায় ভারত রীতিমত শক্তিশালী হয়েছে।সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রিইকের প্রসঙ্গ তুলে এনে অমিত শাহ বলেন ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রশংসা পেয়েছ আমেরিকা ও ইজরায়েলের কাছে। তারই উত্তরে রাহুল গান্ধী মির্জা গালিবের কবিতা উদ্ধৃত করে বলেন সীমান্ত কী হচ্ছে তা সবাই জানে। মন ভালো রাখার জন্য এই ভাবনাটা ভালো বলেও মন্তব্য় করেন। আর সেই ট্যুইট বার্তাতেই 'শায়েদ কে তিনি শাহ -ইয়াদ ' বলেন।
সন্ধ্যায় রাহুলের মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আরেক উর্দু কবি মনজর লখনভির শায়েরি তুলে উদ্ধৃত করেন রাজনাথ সিং। যেখানে তিনি কবির 'হৃদয়'এর জায়গায় 'হাত' শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি লেখেন, হাতে ব্যাথা হলে চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু হাতই যদি ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে তাহলে কী করার আছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে হাতকে রীতিমত কটাক্ষ করেই এই মন্তব্য রাজনাথ সিংএর।
পরের দিন সকালেই রাহুল গান্ধী রাজনাস সিংকে নিশানা করেন বলেন হাত প্রসঙ্গ যখন তুললেনই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তখন বলেই ফেলুন লাদাখে কী হচ্ছে। চিনারা কী ভারতের অঞ্চল দখল করেছে।
এদিকে কলকাতার জনসভাতেও রাহুল গান্ধীকে রীতিমত নিশানা করেন অমিত শাহ। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দেশের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন অমিত শাহ। তিনি রাহুল গান্ধীকে 'রাহুল বাবা' বলে মন্তব্য করেন। আর জানিয়েদেন গত ৭০ বছরে দেশে উন্নয়নের কাজ তেমন হয়। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একেপর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে উন্নয়নের রাস্তা প্রশস্ত করেছেন। তবে তিনি এদিন সারসারি লাদাখ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেননি। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন।