রাজস্থানের জালোর জেলার রানীওয়াড়ায় গেলেই দেখা মিলবে রাধার। রূপে গুণে যেমন উৎকৃষ্ট তেমনই আদালা তার ঠাটবাট। রানীওয়াড়ায় একটি কোটই টাকা মূল্যের বাংলোয় বাস রাধার। নিত্যদিনের কাজের জন্য রয়েছে ৫০ জন কর্মী। খাবার পাতে লাপসী তা না হলে থাকতেই হবে দেশি ঘি দিয়ে তৈরি লাড্ডু।
রাজস্থানের জালোর জেলার রানীওয়াড়ার বাসিন্দা নরেন্দ্র পুরোহিত পোষ্য গাভী হল রাধা। ছোট থেকেই গোরুর শখ ছিল নরেন্দ্রর। বর্তমানে মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে ঠিকাদারির কাজ করেন তিনি। এছাড়া নিজস্ব ব্যবসাও আছে তাঁর। প্রায় ৭ বছর আগে নিজের গোরু প্রতিপালনের শখ পূরণ করতে রাধাকে বাড়িতে আনেন তিনি।
রাধাকে তাঁর গুরু মহারাজের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে গোরুটির নাম রাখেন রাধা। রাধার বাড়িতে আসার পরই উন্নতির শিখরে পৌঁছয় নরেন্দ্রর ব্যবসা। এরপর থেকেই রাধার ভক্ত হয়ে যায় গোটা পরিবার। তার বিলাস-ব্যসনে এতটুকু খামতি যাতে না থাকে সেবিষয় বিশেষ নজর রাখেন নরেন্দ্র। মহারম্বরে শুরু হয় গোরুর সেবা।
রাধার আরতি না করে দিন শুরু হয় না পুরোহিত পরিবারের। শুধু তাই নয় গোরুর থাকার জন্য তৈরি হয়েছে বিশাল প্রাসাদ। ২৬৬ গজের জমির উপর কোটি টাকার একটি বাংলোয় থাকে এই গাভী। নজরদারির জন্য বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
শুধু প্রাসাদ নয় দাসদাসীর অভাব নেই রাধার। গোরুর নিত্যদিনের কাজর্ম ও তাঁর পরিচর্যার জন্য রয়েছে ৫০ জন কর্মী। এছাড়া রাধার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রয়েক চিকিৎকদের একটি বিশেষ দল।
শুরুর দিকে খর বিচুলি খেলেও পরে ধীরে লাপসি খাওয়ানো শুরু হয় রাধাকে। সঙ্গে থাকে দেশি ঘিয়ের লাড্ডু। লাড্ডু ও লাপসি এখন রাধার এতটাই প্রিয় যে এছাড়া অন্য খাবার এখন আর তার মুখে রোচে না।
সম্প্রতি রাজস্থানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল লুম্পি মহামারী। অসুখের কবলে পড়ে রাধাও। তবে পুরোহত পরিবারের ভালোবাসা ও প্রার্থনার জোরে সুস্থ হয়ে ওঠে সে।
৪ মাস আগে আহমেদাবাদে একটি ইলেকট্রিক টু হুইলার কারখানাও চালু করেছিলেন শিল্পপতি নরেন্দ্র পুরোহিত। এই ইলেকট্রিক বাইকের নামও দেওয়া হয়েছে সুরভী নামের একটি জাতের গরুর নামে।