স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পর এবার নতুন আকর্ষণ একতা নগরে, মিয়াওয়াকি ফরেস্ট ও মেজ গার্ডেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পরে এখন একতা নগরের আর এক আকর্ষণ হল মিয়াওয়াকি ফরেস্ট ও মেজ গার্ডেন। তিন একর জায়গার উপর তৈরি এই গার্ডেনকে দেশের বৃহত্তম গোলকধাঁধাঁ বলেও দাবি করা হচ্ছে।
Ishanee Dhar | Published : Oct 30, 2022 11:06 AM IST
৪ বছর আগে যখন স্ট্যাচু অফ ইউনিটি তৈরি করা হয়েছেন তখনও ভাবা যায়নি এই স্ট্যাচু দেখতে চার মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আসবেন। অল্প সময়ের মধ্যেই একতা নগরের এক অন্যতম আর্ষণ হয়ে ওঠে এই মূর্তি। এবার পূর্বতন অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার একতা নগরে তৈরি হল মিয়াওয়াকি ফরেস্ট ও মেজ গার্ডেন। গোলকধাঁধাঁর আকারে তৈরি এই গার্ডেন পর্যটনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
৩০ অক্টোবর একতা নগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করলেন আরও দুটি পর্যটন কেন্দ্রের। মিয়াওয়াকি ফরেস্ট ও মেজ গার্ডেন। স্ট্যাচু অফ ইউনিটিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একতা নগরের পর্যটন শিল্পকে আরও পোক্ত করে তুলতেই এই বিশেষ পদক্ষেপ।
তিন একর জায়গার উপর তৈরি দেশের বৃহত্তম গোলকধাঁধাঁ মেজ গার্ডেন। এই বাগানটি ২১০০ মিটার লম্বা পথ দিয়ে ঘেরা। মাত্র আট মাসের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ উদ্যান। এই উদ্যানের জটিল ধাঁধাঁময় পথই পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
কোনও যন্ত্রের ভেতরের অংশের ধঁচে তৈরি এই মেজ গার্ডেন। মূলত বাগানের রাস্তাগুলিকে আরও প্রতিকূলতাময় ও জটিল করে তোলার জন্যই এই ধরনের নকশা বেছে নেওয়া হয়েছে। ঘন গাছে ঘেরা রাস্তার মাঝে পাখি, প্রজাপতি এবং মৌমাছির মেলায় এক অদ্ভুত নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করবে।
তিন একর জমিতে বিস্তৃত এই মেজ গার্ডেনে রয়েছে প্রায় ১,৮০,০০০ চারা গাছ। এর মধ্যে রয়েছে, অরেঞ্জ জেমিন, মধু কামিনী, গ্লোরি বোভার এবং মেহেন্দির মতো একাধিক গাছ। এককালের ধ্বংসাবশেষ বা ডাম্পিং সাইট এখন গাছ, ফুল, পাখি, মৌমাছিতে ঘেরা এক সুন্দর ল্যান্ডস্কেপে পরিণত হয়েছে।
একতা নগরের আর এক আকর্ষণের কেন্দ্র হল মিয়াওয়াকি ফরেস্ট । জাপানি উদ্ভিদবিজ্ঞানী এবং বাস্তুবিজ্ঞানী ডঃ আকিরা মিয়াওয়াকির নামানুসারে। তাঁর উদ্ভাবিত কৌশল অনুসারে বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপণ করা হয়। যার ফলে শহরের মাঝে একটি ঘন জঙ্গল তৈরি হয়েছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে গাছের বৃদ্ধি দশগুণ দ্রুত হয় এবং এর ফলে গড়ে ওঠা বন ত্রিশ গুণ ঘন হয়।
মিয়াওয়াকি পদ্ধতির মাধ্যমে মাত্র তিন বছরের মধ্যে একটি জঙ্গল গড়ে তোলা সম্ভব। যেখানে প্রচলিত প্রচলিত পদ্ধতিতে একটি জঙ্গল তৈরি করতে সময় লাগে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ বছর। মিয়াওয়াকি ফরেস্টে কয়েকটি বিশেষ বিভাগ দেখা যায়। এর মধ্যে আছে, নেটিভ ফ্লোরাল গার্ডেন, কাঠের বাগান, ফলের বাগান, ঔষধি বাগান, মিশ্র প্রজাতির একটি মিয়াওয়াকি বিভাগ, ডিজিটাল ওরিয়েন্টেশন সেন্টার।
উল্লেখ্য মেজ গার্ডেনের নকশাটি সামগ্রিকভাবে একটি ইতিবাচক শক্তিকে ছড়িয়ে দেয়। তাছাড়া এই গার্ডেনের নকশা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গেও ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে রয়েছে।
মেজ গার্ডেন ও মিয়াওয়াকি ফরেস্টে খুব কম সময়ের মধ্যেই দেশের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্রে পরিণত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
এরমধ্যে রয়েছে একটি টেন্ট সিটিও যা একটি থিম ভিত্তিক পার্ক। যার মধ্যে থাকছে, আরোগ্য ভ্যান (হার্বাল গার্ডেন), বাটারফ্লাই গার্ডেন, ক্যাকটাস গার্ডেন, বিশ্ব ভ্যান, দ্য ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারস (ভারত ভ্যান), ইউনিটি গ্লো গার্ডেন, চিলড্রেন নিউট্রিশন পার্ক, জঙ্গল সাফারি (স্টেট অফ আর্ট জুলজিক্যাল পার্ক)।