রাজস্থানের প্রশাসনের ও দলের পদ খুইয়ে হতাশ শচীন পাইলট
বললেন সত্যকে পরাজিত করা যায়না
সোশ্যাল মিডিয়ায় বদলে ফেললেন নিজের পরিচয়
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ডাকা পরপর দুটি বৈঠকের অনুপস্থিত থাকার ফল পেতে হল হাতেনাতে। জয়পুরে বিধায়কদের বৈঠকে শচীন পাইলটকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে শিলমোহর দেয় কংগ্রেস। পরক্ষণেই শচীন পাইলটকে সরিয়ে দেওয়া হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে। ২০১৩ সাল থেকেই এই পদে ছিলেন শচীন পাইলট। রাজনস্থান বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলেই দাবি করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের কাছে শচীন সরাসরি জানিয়েছিলেন কেউই তাঁর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারেন না। কিন্তু দিনের পর দিন অপমান সদ্য করে কংগ্রেসে থাকাও সম্ভব নয়।
কিন্তু উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ হারানোর পরই নীবরতা ভেঙে সোশ্য়াল মিডিয়া বার্তা দিলেন শচীন পাইলট। তিনি বলেন সত্যকে হয়রান করা যায় কিন্তু কখনই পরাজিত করা যায় না। পাশাপাশি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে বায়োতে নিজের ছবি পরিবর্তন করেন সঙ্গে সঙ্গে। পাশাপাশি পরিবর্তন করেন নিজের পদও। আগে যেখানে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের পরিচয় দিতেন শচীন এখন সেখানেই লিখছেন বিধায়ক। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজস্থানে রাজনৈতিক সংকট চলছে। কিন্তু গতদুদিন ধরে সম্পূর্ণ নীবর ছিলেন পাইলট। এই প্রথম তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুখ খুললেন।
শুধু শচীন নয়। শচীন পাইলটের সঙ্গে থাকায় মন্ত্রীত্ব খোয়াতে হয়েছে দুই মন্ত্রীকেই। তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই জানান হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে। তবে শচীন পাইলটকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া রীতিমত ক্ষুব্দ তাঁর অনুগামীরা। এক অনুগামী জানিয়েছেন কখনই দলের বিপক্ষে যাননি পাইলট। দলের সিদ্ধান্তের বিপক্ষেও কোনও মন্তব্য করেননি।
করোনা মোকাবিলায় এবার ভারতে চর্মরোগের ওষুধ হাতিয়ার, বায়োকনের ইটোলিজুমাব জীবনদায়ী বলে দাবি ...
বাহুবলী বিকাশ দুবেব মাসিক আয় দেখে মাথা ঘুরে গেছে তদন্তকারীদের, রোজগারের উৎস আর মোহনা এখনও অস্পষ্ট .
তবে শচীন পাইলট ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগ দিয়ে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার ফেলার অভিযোগ তুলেছে অশোক গেহলট শিবির। গেহলট শিবিরের অভিযোগ শচীন পাইলট গত দুদিন ধরে বিজেপি সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। যদিও শচীন শিবির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।