সাইবার সুরক্ষা, ডেটা প্রাইভেসি আর ডেটা সুরক্ষার জন্য এবার ভারতের আইন পরিবর্তন করার সময় এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তেমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। নিজের পুরনো একটি ইন্টারভিউয়ের পাশাপাশি একটি নতুন ভিডিও পোস্ট করেছেন টুইটারে। সেখানেই তিনি তথ্য প্রযুক্তি, ইন্টারনেট ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।
সাইবার সুরক্ষা, ডেটা প্রাইভেসি আর ডেটা সুরক্ষার জন্য এবার ভারতের আইন পরিবর্তন করার সময় এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তেমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। নিজের পুরনো একটি ইন্টারভিউয়ের পাশাপাশি একটি নতুন ভিডিও পোস্ট করেছেন টুইটারে। সেখানেই তিনি তথ্য প্রযুক্তি, ইন্টারনেট ব্যবস্থা সম্পর্কে নিজের অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ট্রিলিয়ন ডিজিটাল অর্থনীতির লক্ষ্য গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড সাইবার আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। যেখানে তিনি ট্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্র নরেন্দ্র মোদীকে।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী টুইটে বলেছেন, ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করার অনুমতি দেওয়া উচিৎ নয়। বিগটেক প্ল্যাটফর্মগুলিকে প্রভাবিত করে মানব পক্ষপাতের বিষয়টি উত্থাপন করে। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন মানুষ পক্ষপাত দ্বারা প্রভাবিত হয়। "বিগটেক প্ল্যাটফর্মগুলি দ্বারা ব্যবহৃত অ্যালগরিদমগুলি মানুষের পক্ষপাত দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং ভারতীয় নাগরিকদের ১৪, ১৯ এবং ২১ মৌলিক অধিকারগুলিকে কখনই লঙ্ঘন করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়", কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টুইট করেছেন৷
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে এরটি পুরনো ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে ২০১৯ সালে তিনি এই একই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ভিডিওটিতে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের অ্যালগরিদিম নিয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় তিনি এগুলিকে দমন করার পক্ষে মত দিতে অস্বীকার করেছিলেব। বলেন যে এই অ্যালগরিদমগুলি সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদকে হ্রাস করে যা যুক্তিসঙ্গত বিধিনিষেধ সহ মত প্রকাশের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়। তিনি আরও জোর দিয়েছিলেন যে এই সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলি অ্যালগরিদমগুলির প্রকৃত গভীর কার্যকারিতাকে সর্বজনীন করেনি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে ফেসবুকের হুইসেল ব্লোয়ার ফ্রান্সিস হাগেনের প্রকাশের পটভূমিকে এই সমস্যাটি উত্থাপন করেছিলেন। যা ব্যবহারকারীদের ক্যাপচার করার জন্য জনসাধারণের কল্যানের মুনাফাই বেশি দেখা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। তিনি বলেছেন কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মের কোনও অ্যালগরিদিম যাতে ভারতীয়দের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন না করে সেই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি মতামত দিয়েছিলেন যে এই অ্যালগরিদমগুলি ব্যর্থতা এবং ইচ্ছাকৃত পক্ষপাতের প্রবণতা রয়েছে যা অনুচ্ছেদ ১৪(বৈষম্যহীন), অনুচ্ছেদ ১৯(বাক স্বাধীনতা), এবং ধারা ২১(গোপনীয়তার অধিকার) এর অধীনে ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করে।