সারদা চিটফান্ড মামলায় বর্তমানে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে ২০১৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই দারস্থ হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবাই এবং এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে সোমবার ৬ বছর পর এই মামলাটির শুনানি হয়। সিবিআই এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
25
স্বস্তিতে রাজীব কুমার
সারদা চিটফান্ডে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের আগাম জামিনের বিরুদ্ধে করা সিবিআইয়ের মামলা বাতিল করে দিলো সুপ্রিম কোর্ট। ফলে সারদা মামলায় আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেলেন রাজীব কুমার। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শহিদুল্লাহ মুন্সি এবং বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। সেই আগাম জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছিল সিবিআই।
35
আগাম জামিন নিয়ে প্রশ্ন
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ সিবিআই-এর এই আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় রাজীব কুমারের আগাম জামিন বহাল থাকবে। তবে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার যে মামলা রয়েছে, তা এদিন বাতিল করেনি সুপ্রিম কোর্ট। আট সপ্তাহ তথা দুই মাস পরে আবারও আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। ওই মামলার উপরই রাজীব কুমারের আগাম জামিনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে।
এদিন শুনানিতে সিবিআই-এর আইনজীবী তথা কেন্দ্রের সলিশিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে বলেন, 'সারদা চিটফান্ড তদন্তের সময় সিবিআই এর অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছিল। মহিলা অফিসাররাও হেনস্থার শিকার হন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি আলাদা করে কারও নাম নিচ্ছি না। রাজীব কুমারকে সকলেই বাঁচাতে চাইছে। তাঁকে বাঁচাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কী করেছিলেন, তা সকলেরই জানা।'
55
রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ
এই বিষয়ে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কেন্দ্র এটা করছে। সিবিআই-কে কাজে লাগিয়ে ওরা বিষয়টা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে। এটা কোনও রাজনীতির বিষয় নয়। এই মামলা কোনোভাবেই দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সারদা কেলেঙ্কারিতে আর্থিক তছরুপের মামলা হয়েছে। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের কোনও অভিযোগ নেই। এই মামলা যদি আরও আগে আসতো, তাহলে তা আরও আগেই নিষ্পত্তি করে দিতাম।''