শাসক নয়- বিরোধীদেরও সদস্য পাঠানোর সুযোগ রয়েছে রাজ্যসভায়, জানুন কীভাবে হয় নির্বাচন

ভারতে রাজ্যসভার নির্বাচন হয় পরেক্ষে। রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়করাই ভোট দিতে পারেন। রাজ্য়সভার নির্বাচনে হিসেব অনেকটাই জটিল। 

ভারতীয় সংসদ দুই কক্ষ বিশিষ্ট - উচ্চ কক্ষ হল রাজ্যসভা আর নিম্ন কক্ষ হল লোকসভা। লোকসভায় প্রত্যক্ষ নির্বাচন করা হয়। অর্থাৎ প্রার্থীদের সরাসরি নির্বাচন করেন এই দেশের ভোটাররা। কিন্তু রাজ্যসভার নির্বাচন হয় পরোক্ষ। এখানে দেশের ভোটারদের সরাসরি নির্বাচনের কোনও সুযোগ থাকে না। তবে প্রতিটি রাজ্যেরই নির্দিষ্ট কিছু আসন থাকে। আবার রাষ্ট্রপতি দেশের শিল্পি, সাহিত্যিকসহ ১২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মনোনীত করতে পারেন। 

রাজ্যসভা একটি স্থায়ী সংস্থা। এটি কোনও সময়ই বিলুপ্ত করা যায় না। তবে প্রতি দ্বিতীয় বছর সদস্যদের এক তৃতীয়াংশ অবসর গ্রহণ করেন। আর তৃতীয় বছরের শুরুতে নতুন করে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। রাজ্যসভার সাংসদদের মেয়াদ ৬ বছর। রাজ্যসভার সদস্য সংখ্যা ২৫০। যারমধ্যে ২৩৮ জন সদস্য বিধায়ক ও সাংসদদের দ্বারা নির্বাচিত হন। ১২ সদস্যকে মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি। রাজ্যসভার সংসদ নির্বাচিত হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভা ও বিধানপরিষদের মাধ্যমে।  পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যসভার মোট সদস্য সংখ্যা ১৬। 

Latest Videos

প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচিত সদস্যরাই রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচিত করতে পারে। একক হস্তান্তরযোগ্য সামানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে হয় এই নির্বাচন। যে দলের প্রতিনিধি বিধানসভায় নেই সেই দল রাজ্যসভায় সাংসদ পাঠাতে পারে না। সেই কারণে  এই রাজ্য থেকে বাম ও কংগ্রেস প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে না। 
এক জন রাজ্যসভার সাংসদ দুটো করে ভোট পান। প্রথম পছন্দের ভোট আর দ্বিতীয় পছন্দের ভোট। সেইক্ষেত্রে রাজ্যসভায় সদস্য পাঠানোর জন্য রাজনৈতিকদলগুলিকে যথেষ্ট হিসেব নিকেশ করতে হয়। অনেকই সময়ই দেখা যায় ভোট কাটাকাটিতে বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী রাজ্যসভার সাংসদ হতে পারে। আবার দলের চতুর্থ বা পঞ্চমে স্থানে নাম ছিল এমন প্রার্থীও নির্বাচিত হতে পারেন। 

রাজ্যসভার সাংসদরা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন। প্রতিটি রাজ্য ও  কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা সেই রাজ্যের আইনসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা নির্বাচিত হন। ইলেক্টোরাল কলেজ বলা হয়। সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেকটি রাজ্যের নির্দিষ্ট সংখ্য়ক আসন রয়েছে। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ আসনে প্রতি ২ বছর পরপর নির্বাচন হয়। একটি রাজ্যের উদাহরণ দেওয়া যাক- যেখানে দুটি দল রয়েছে। প্রথম দলটির ১০০টি আসন রয়েছে আর দ্বিতীয় দলটির ৪০টি আসন রয়েছে। উভয় দলই রাজ্যসভার জন্য তিনজন প্রার্থী দিতে পারবে। রাজ্যসভার আসনে জয়ী হতে গেলে একজন প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে হবে। সেক্ষেত্রে একজন প্রার্থীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৬টি করে ভোট। অর্থাৎ যে রাজ্যে ১৪০টি আসন থাকে তাহলে রাজ্যসভায়  আসন পাঠানোর ফর্মুলা হলে ১৪০কে ৪ দিয়ে ভাগ করে যে সংখ্য়া পাওয়া যাবে তার থেকে একটি ভোট বেশি পেতে হবে। এই পদ্ধতিতে সেই বিধানসভার বিরোধী দলও রাজ্যসভায় আসন পাঠাতে পারবে। 

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

Sukhendu Sekhar কী বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে? জল্পনা উস্কে যা বললেন Agnimitra Paul
রেলের উন্নয়নের নামে রাতের আঁধারে ধ্বংস হকারদের রুটিরুজি! Sheoraphuli-তে হাহাকার! | Hooghly News
তন্ত্রযোগ? নাকি বৌমা ও ছেলেকে শিক্ষা দিতেই...আটক দাদু, ঠাকুমা ও জেঠিমা | Hooghly News Today
সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু! তার আগেই বিরোধীদের কড়া বার্তা PM Modi | Parliament Winter Session 2024
TMC ছেড়ে কেন BJP-তে শুভেন্দু! আজ নিজেই বলে দিলেন সব | Suvendu Adhikari | Bangla News