মার্সিডিজ গাড়িতে তুলে ১৭ কিশোরীরে একে একে ধর্ষণ করল পাঁচ কিশোর, হাইপ্রোফাইল গণধর্ষণের সাক্ষী হায়দরাবাদ

পুলিশ সূত্রের জানা গেছে, কিশোরীর পার্টির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শহরের তথাকথিত নামি একটি পাবে গিয়েছিল। গত শনিবার এই ঘটনা ঘটে। সেখান থেকেই কিশোরীকে মার্সিডিজ গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করা হয়।

Saborni Mitra | Published : Jun 3, 2022 9:38 AM IST / Updated: Jun 03 2022, 04:23 PM IST

নাবালিকাকে মার্সিডিস গাড়ির ভিরতে ঢুকিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই স্কুলপড়ুয়া। তারা নাবালক বলেও জানিয়েছে পুলিশ। শহরের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান তারা। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন বিধায়কের ছেলে বলেও জানা গেছে।  তবে শুক্রবার এই নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত চমকে ওঠে হায়দরাবাদের বাসিন্দারা। বুধবার অর্থাৎ পয়লা জুন হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস থাকায় এই মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সতত্য যাঁচাই করার জন্য ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রের জানা গেছে, কিশোরীর পার্টির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শহরের তথাকথিত নামি একটি পাবে গিয়েছিল। গত শনিবার এই ঘটনা ঘটে। সেখান থেকেই কিশোরীকে মার্সিডিজ গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তরা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া। এক বিধায়কের ছেলেও নাম রয়েছে এই নৃশংস গণধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে। 

নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে শনিবার সন্ধ্যায় ১৭ বছর বয়সী মেয়েটি বন্ধুদের সঙ্গে স্থানীয় একটি পাবে গিয়েছিল। মেয়েটির বন্ধুত্ব ছিল একটি কিশোরের সঙ্গে। সেই কিশোরও উপস্থিত ছিল পাবে। সঙ্গে ছিল তার বন্ধুরা। কিন্তু কিছুক্ষণ পাবে কাটিয়েই কিশোরী তার তথাকথিত বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। কিশোরীকে স্থানীয় একটি ক্লাবে নিয়ে যাবে। সেখানে থেকে কিশোরীকে তার বাড়ি পৌঁছে দেবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেইমত কিশোরী তাদের সঙ্গে রওনা দেয়। 

পুলিশ জানিয়েছে শনিবার সন্ধ্যায় গাড়ি নিয়ে কিশোরের দলটি বেশকিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে। কিশোরীকে ধর্ষণের আগে গাড়িতে করেই তারা জুবিলি হিলস এলাকার একটি পেস্ট্রির দোকানে গিয়েছিল। তারপর জুবিলি হিলসের একটি নির্জন এলাকায় গাড়ি পার্ক করে। সেখানেই পালা করে একের পর এক কিশোর কিশোরীকে ধর্ষণ করে। একজন যখন ধর্ষণ করছিল তখন অন্যরা গাড়ির বাইরে দাঁড়ি পাহারা দিচ্ছিল। 

পুলিশ সূত্রের খবর যে বিধায়কের ছেলের নাম এই গণধর্ষণ মামালয় উঠেছে সেই কিশোর আগেই পালিয়ে গেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। পাআশপাসি পকসো আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর-এ গণধর্ষণের ধারাও দেওয়া হয়েছে। 

পুলিশ সূত্রের জানা গেছে, নির্যাতিতা কিশোরী শুধুমাত্র বিধায়কের ছেলেকেই সনাক্ত করতে পেরেছে।  তার নামও জানিয়েছে।  কিশোরী জানিয়েছে সে একজনই চিনত, বাকিদের সঙ্গে তেমন পরিচয় ছিল না । 

নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেছে তাঁর মেয়ের সঙ্গে চরম দুর্ব্যহার করা হয়েছে। মেয়েকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেছেন তাঁর মেয়ের ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আউটগয়িং মজুসিটি মামলা দায়ের করেছে। পরেদায়ের করা হয় গণধর্ষণ মামালা।

নির্যাতিতার বাবা প্রথম একাই থানায় আসেন। সেই সময় তিনি বলেছিবেন, রাসো প্রেটেশকশন আইনের মায়ধম্য মামলা দায়ের করতে চেয়েছিলেন। সেই ধারাতেই মামল দায়ের হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের নাগাল পাওয়া যায়নি। 

Share this article
click me!