নকল অ্যান্টিবায়োটিকগুলো হরিদ্বারের এক ভেটেরিনারি ওষুধের পরীক্ষাগারে তৈরি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের হাসপাতাল-সহ ভারতজুড়ে এই নকল ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল।
কদিন ধরে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল দেশ। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে হাসপাতালের দুর্নীতি এসেছে সামনে। এরই সঙ্গে এসেছে ওষুধের দুর্নীতি। মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার থেকে একাধিক দুর্নীতি এসেছে সামনে। এরই মাঝে ওষুধ নিয়ে ফের সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নাগপুরে সরকারি হাসপাতালে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের স্টার্চের মধ্যে মিলল ট্যালকাম পাউডারের নমুনা।
গত বছর হাসপাতালে জাল ওষুধ সরবরাহের মামলায় ১,২০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট প্রকাশ করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নকল অ্যান্টিবায়োটিকগুলো হরিদ্বারের এক ভেটেরিনারি ওষুধের পরীক্ষাগারে তৈরি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের হাসপাতাল-সহ ভারতজুড়ে এই নকল ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছিল।
নকল ওষুধের টেন্ডারে অংশ নেওয়ার হেমন্ত মুখ্য নামে এক ব্যক্তিকে প্রধান অপরাধী হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও মিহির ত্রিবেদী এবং বিজয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রসঙ্গে আইপিএস অফিসার অনিল মাস্ক বলেন, ‘তানেজা ভাইয়েরা তার নাম দেওয়ার পর আমরা অমিতা ধীমানের হরিদ্বার ভেটেরিনারি ল্যাবরেটরিতে পৌঁছেছিলাম।…’ তারপর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজ্যের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রিেশন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই চক্রের কথা ফাঁস হয়। ইন্দিরা গান্ধী সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাগপুর সিভিল সার্জনের অধীনে ওষুধের দোকান থেকে প্রায় ২১,৬০০ সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেগুলো পরীক্ষার জন্য সরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই এই তথ্য উদঘাটন হয়। এই সকল অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেটগুলো মূত্রনালীতে সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।