সম্পত্তি নষ্টের অনুশোচনা, প্রশাসনকে ক্ষতিপূরণ দিলেন বুলন্দশহরের বাসিন্দারা

  • উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরের ঘটনা
  • প্রশাসনের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দিলেন বাসিন্দারা
  • গত ২০ ডিসেম্বর বিক্ষোভ চলাকালীন তাণ্ডব
  • নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় বুলন্দশহরে

debamoy ghosh | Published : Dec 28, 2019 9:00 AM IST / Updated: Dec 28 2019, 03:22 PM IST

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে তাঁদের থেকেই ক্ষতিপূরণ আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে সেই নোটিশও পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে অভিযুক্তদের কাছে। এরই মধ্যে অন্য রকম নজির গড়লেন উত্তরপ্রদেশেরই বুলন্দশহরের বাসিন্দারা। বিক্ষোভ চলাকালীন হওয়া ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ বাবদ নিজেদের থেকেই প্রশাসনের হাতে ৬ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা তুলে দিলেন বুলন্দশহরের বাসিন্দারা। 

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, বুলন্দশহরের উপিরখোট এলাকার বাসিন্দারাই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। গত ২০ ডিসেম্বর নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধো বিক্ষোভ চলাকালীন ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়, চলে ভাঙচুর এবং সংঘর্ষ। সেই ঘটনার ক্ষতিপূরণ বাবদই জেলাশাসক রবীন্দ্র কুমার এবং পুলিশের এসএসপি সন্তোষকুমার সিং- এর হাতে একটি ডিমান্ড ড্রাফ্ট তুলে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

আরও পড়ুন- রাষ্ট্রযন্ত্রের কঠোর প্রয়োগ, যোগীর নির্দেশে গ্রেফতার ৪৮, তালা অন্তত ৬৭টি দোকানে

আরও পড়ুন- 'দাড়ি ছিঁড়ে নেব',সাংবাদিককে শাসানোর অভিযোগ যোগীর পুলিশের বিরুদ্ধে

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের সিনিয়র আধিকারিকদের মতে, নিজেদের কৃতকর্মের অনুশোচনা থেকেই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়েছেন নাগরিকরা। 

শেখিউল্লাহ নামে স্থানীয় এত রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বেই কোতওয়ালি শহরের মুসলিম সমাজের বিশিষ্ট বাসিন্দারা এই উদ্যোগ নেন। জেলাশাসকের হাতে একটি চিঠিও তুলে দেন তাঁরা। সেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের তাণ্ডবের ঘটনা ওই অঞ্চলে আর ঘটবে না। বুলন্দশহরের প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনও কোনও বাসিন্দার থেকে ভাঙচুরের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়নি। 

এসএসপি সন্তোষকুমার সিং বলেন, 'এটা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। এর ফলে ভাঙচুরে অভিযুক্তদের নোটিশ পাঠিয়ে ক্ষতিপূরণ আদায় করার সময়স্বাপেক্ষ পদ্ধতি এড়ানো সম্ভব হল।'

গত ২০ ডিসেম্বরের ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নিতে ওই এলাকায় যান উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তখনই একটি বৈঠকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি তোলেন স্থানীয় এক পুরপ্রতিনিধির স্বামী। তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন অন্যান্যরাও। গত ২০ ডিসেম্বর তাণ্ডব চলাকালীন পুলিশের একটি ভ্যান পুড়িয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। সেই ভ্যান-এর বদলে নতুন একটি ভ্যান পুলিশকে কিনে দেওয়ার প্রস্তাবও দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু পুড়ে যাওয়া ভ্যানটি যে মডেল-এর ছিল, সেটি উঠে যাওয়ায় তার দাম প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 
 

Share this article
click me!