মহারাষ্ট্রে এনসিপি মন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই ফোনে শরদ পাওয়ারকে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবার সেই কথাই প্রকাশ্যে বললেন শিবসেনা সাংসদ তথা দলে মুখ্যপাত্র সঞ্জয় রাউত।
মহারাষ্ট্রে এনসিপি মন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই ফোনে শরদ পাওয়ারকে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। উল্লেখ্য, দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় এনফের্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। দলের নেতার গ্রেফতারিতে শরদ পাওয়ারকে (Sharad Pawar)ফোন করলেন মমতা। এবার সেই কথাই প্রকাশ্যে বললেন শিবসেনা সাংসদ তথা দলে মুখ্যপাত্র সঞ্জয় রাউত।
ধৃত নবাবকে বুধবার আদালতে পেশ করে জেরার জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ইডি। সেই আবেদন মেনে ধৃত মন্ত্রীকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ইডির হেফাজতে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আদলত। উল্লেখ্য , দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় এনফের্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Nawab Malik)। এরপেরই বুধবার বিকেলে দলের নেতার গ্রেফতারিতে শরদ পাওয়ারকে (Sharad Pawar)ফোন করলেন মমতা।ফোনে প্রায় ১০ মিনিট মতো তাঁদের মধ্য়ে কথা হয়েছে। এনসিপি-র একটি সূত্র জানিয়েছে, ধৃত নবাবকে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা -এনসিপি-কংগ্রেস জোট মহা বিকাশ আগাড়ির মন্ত্রিসভার থেকে বাদ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা।উল্লেখ্য, এদিন সকাল ৬টা নাগাদ ইডির আধিকারিকরা নবাব মালিকের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬২ বছরের নবাব মালিককে নিয়ে আসা হয়েছিল মুম্বইয়ে ইডির অফিসে। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ জেরা করা হয়। প্রায় আট ঘণ্টা জেরার পরই মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা।
সূত্র মারফত খবর অনুযায়ী, শরদ পাওয়ার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কাছে জানতে চেয়েছিলেন, গ্রেফতার হওয়ার মন্ত্রীদের সাসপেন্ড করার বিষয়ে তাঁর কী মতামত। মমতা এজাতীয় ঘটনায় তাঁর মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তাও বিস্তারিত জানতে চান শরদ পাওয়ার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যেরই এজাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । একযোগ রাজ্যের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা মন্ত্রীকে ডেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জেরার জন্য। কিন্তু সেই সময় অভিযুক্ত দলীয় নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের পদত্যাগের যে দাবি উঠেছিল তা প্রত্যাখ্যান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবাব মালিকের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা। পাশাপাশি শরদ পাওয়ারকে মহারাষ্ট্র সরকার ও নবাব মালিকের পাশে দাঁড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,'পাওয়ার যেন বিজেপির প্ররোচনায় কখনই পা না দেন। '