ওমিক্রন আপনাকে দুইবার সংক্রমণ করতে পারে বলে দাবি কোভিড বিশেষজ্ঞদের। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর এমনটাই জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ।
ওমিক্রন (Omicron) আপনাকে দুইবার সংক্রমণ করতে পারে বলে দাবি কোভিড বিশেষজ্ঞদের (Covid Experts)। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর এমনটাই জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ। ওমিক্রন বিএ-টু পর্বে সাব ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ ধরা পড়েছে। যা পুনরায় সংক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছে।
ডেনিশ গবেষণা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে যে, ওমিক্রনের দুটি সাব ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে সংক্রমণ অসম্ভব নয়। তবে সেই সম্ববনা বিরল। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন যে, প্রথম বার রোগীর অনাক্রমতা বিকাশের সম্ভাবনা বিবেচনা করে ভাইরাসের লোড দ্বিতীয়বার কম হবে। নতুন এই গবেষণাটি ডেনমার্কের শীর্ষ সংক্রামক রোগ কর্তৃপক্ষ স্টেনন্স সিরাম ইনন্সিটিউট-র গবেষকদের নের্তৃত্বে করা হয়েছে। যদিও এখনও পিআর রিভিউ বাকি। গবেষক বলেছেন, ওমিক্রণ বিএ-টু পুনরায় সংক্রমণ বিরলতম ঘটনা। তবে বিএ-ওয়ান সংক্রমণের পরে তা দ্রুত হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুনরায় সংক্রমণ সাধারণত ভ্যাকসিনেশন হয়নি এমনই তরুণ বা মধয বয়ষ্কদের প্রভাবিত করে। উল্লেখ্য, বিএ-ওয়ান এবং বিএ-টু, ৪০ টি মিউটেশন দ্বারা আলাদা হয়েছে। যদিও বিএ টু ডেনমার্ক ৮৮ শতাংশেরও বেশি অংশের পাশাপাশি আফ্রিকা, নরওয়েতেও কেস বাড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, '১০০ শতাংশ কার্যকর', কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে কী বার্তা স্যানোফি ও জিএসকে-র
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন জানিয়েছে, করোনা ভ্যারিয়েন্ট সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি পালিয়ে যায়। তবে কেন পুনরায় সংক্রমণের সংখ্যা বেশি তার কারণ বর্ণনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যখন আপনি সংক্রমিত হন, তখন আপনার শরীরে একটি তাৎক্ষনিক সুরক্ষা কবজ তৈরি করে। যাকে অনাক্রমতা বলা হয়ে থাকে। বি কোষ ইমিউনোগ্লোবিন তৈরি করে। আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওই ইমিউনোগ্লোবিনগুলি বজায় রাখলেও তিন থেকে ছয়মাস পর তা নেমে যায় । কিন্তু যখনই ওই অনাক্রমতা কমে যাবে, তখনই আপনার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয় বলে ব্যাখ্যা দেন কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রন আতঙ্কে বছরের শুরুতেই কেঁপেছে সারা দেশে। একেতো বাইরের দেশের কোভিডের নিউ ভ্যারিয়েন্টগুলি যাতে ভারতে ঢুকে না পড়ে এনিয়েও কম উদ্বেগ হয়নি। তবে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ভারত সরকার টিকার পরিমাণও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ যদিও আগেই বলেছিল, ওমিক্রনে প্রচুর আক্রান্ত হলেও টিকা নেওয়া সাধারণ মানুষের কোভিডে প্রাণ হারানোর ঝুকি কমে যাবে। মিলেও গিয়েছে সেই কথা। তাই ফেরেনি আর কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে অভিশাপ।