অপেক্ষা করছে শেষ পেরেক, 'মেরুদণ্ড' দেখান নয়া প্রধান বিচারপতি, আর্জি অবসরপ্রাপ্তের

  • ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ভেঙে পড়ছে বলে মনে করছেন প্রাক্তন বিচারপতি
  • নয়া প্রধান প্রধান বিচারপতিকে অবিলম্বে আদালতের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মর্যাদা ফেরানোর আর্জি
  • এর আগের দুই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে উঠেছিল মারাত্মক অভিযোগ
  • সাম্প্রতিককালের কিছু রায় নিয়েও বিতর্ক রয়েছে

 

amartya lahiri | Published : Nov 20, 2019 11:57 AM IST

এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রাক্তন বিচারপতি লোকুর, সাম্প্রতিক কালের বেশ কিছু বিচারের রায় ও সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষার্থে বিচারপতিদের এবার মেরুদণ্ড শক্ত করতে হবে।


ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার কফিনে শেষ পেরেকটা পোঁতা বাকি। সুপ্রিম কোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে-কে তাই অবিলম্বে আদালতের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং মর্যাদা ফেরাতে হবে। এমনই আর্জি জানালেন সুপ্রিম কোর্টেরই প্রাক্তন বিচারপতি এম বি লোকুর।

এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রাক্তন বিচারপতি লোকুর, সাম্প্রতিক কালের বেশ কিছু বিচারের রায় ও সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে বলেছেন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষার্থে বিচারপতিদের এবার মেরুদণ্ড শক্ত করতে হবে।

চলতি সপ্তাহের সোমবারই বারতের ৪৭তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন শরদ অরবিন্দ বোবদে। কিন্তু তাঁর ঠিক আগের দুই বিচারপতি-কে ঘিরেই অবিশ্বাস ও অমর্যাদার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বিচারপতি দীপক মিশ্র-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরর সহকর্মীরাই। আর বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বিরুদ্ধে উঠেছিল যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এর সঙ্গে সঙ্গে অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলা-সহ বেশ কিছু মামলার ক্ষেত্রে রায় নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। ফলে ভারতের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিচারপতি লোকুর।

এই অবস্থায় প্রধান বিচারপতি বোবদে-র প্রথমেই সর্বস্তরের বিচারপতিদের মনে আত্মবিশ্বাস ফেরানো কর্তব্য বলে জানিয়েছেন বিচারপতি লোকুর। তাঁর মতে যদি রায় ভুলও হয়, তাহলেও যেন অবসরের পর তারা সুরক্ষিত থাকবেন, এই আশ্বাস তাদের দিতে হবে। আর সর্বসাধারণের ক্ষেত্রে আইন ও সংবিধান অনুযায়ী বিচারকরা তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও সুরক্ষিত করবেন এই বিশ্বাসটা ফেরাতেই হবে। নাহলে ভারতের বিচার ব্যবস্থা খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে পড়বে।

 

Share this article
click me!