১০৫ বছর বয়সে বসলেন ক্লাস ফোরের পরীক্ষায়, ভাগীরথী আম্মাই শিক্ষার অনুপ্রেরণা


চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা দিতে এলেন ১০৫ বছরের বৃদ্ধা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল কেরলের কোল্লাম জেলার থ্রিক্কারুভা এলাকায়। অল্প বয়সেই পারিবারিক দায়িত্ব কাঁধে চেপেছিল ভাগীরথী আম্মা-র। তাই সেই সময় পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। কিন্তু কেরল রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই ফের ১০৫ বছর বয়সে তিনি পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।  

 

amartya lahiri | Published : Nov 20, 2019 10:30 AM IST / Updated: Nov 23 2019, 06:51 PM IST


চতুর্থ শ্রেণীর পরীক্ষা দিতে এলেন ১০৫ বছরের বৃদ্ধা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল কেরলের কোল্লাম জেলার থ্রিক্কারুভা এলাকায়। অল্প বয়সেই পারিবারিক দায়িত্ব কাঁধে চেপেছিল ভাগীরথী আম্মা-র। তাই সেই সময় পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। কিন্তু কেরল রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই ফের ১০৫ বছর বয়সে তিনি পড়াশোনা শুরু করেছিলেন।  

কেরল রাজ্যের সাক্ষরতার হার ৯৩.৯১ শতাংশ। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই মানকে আরও উপরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কেরল রাজ্য সাক্ষরতা মিশন চালু করা হয়েছে। আর এই প্রকল্পেই একেবারে প্রান্তে এসে আরও একবার পড়াশোনার আলো পড়েছে  ভাগীরথী আম্মার জীবনে। সাক্ষর হিসেবে ঘোষণা করার জন্য চতুর্থ শ্রেণির সমতুল একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। আম্মা এদিন সেই পরীক্ষাই দিতে এসেছিলেন।

তাঁর ভাইবোনের জন্ম দিতে গিয়ে ভাগীরথী আম্মার মা মারা গিয়েছিলেন। তারপর থেকে ছোট ভাইবোনদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নেন আম্মা। এরপর বিয়েও করেন। চার মেয়ে এবং দুই ছেলে জন্মায়। কিন্তু একপরই আবার তাঁর স্বামী মারা যান। তখন আম্মার বয়স বছর পঁয়ত্রিশ। তারপর থেকে ছেলে-মেয়ে'দের বড় করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

কিন্তু, তারপরেও তাঁর মুখস্থ করার পারদর্শিতা ও বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা এতটুকু কমেনি। ১০৫ বছরর বয়সেও তাঁর দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণশক্তি অত্যন্ত ভাল। তাই এই বয়সে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করতে বিশেষ বেগ পাননি ভাগীরথী আম্মা। এখন তিনি তাঁর কনিষ্ঠা কন্যা থাঙ্কমণি আম্মা সঙ্গে থাকেন। থাঙ্কমণিরই এখন বয়স ৬৭ বছর। তিনি কিন্তু তাঁর মা-কে সবসময় পড়াশোনার জন্য উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন।

পড়াশোনা কেমন হয়েছে তা ফলাফল বের হলেই জানা যাবে। কিন্তু এদিন পরীক্ষা দিতে বসেই ভাগীরথী আম্মা একটি নজির গড়ে ফেলেছেন। এদিনের পর তিনিই কেরল রাজ্য সাক্ষরতা মিশনের 'অক্ষরালক্ষ্যম সাক্ষরতা প্রকল্প'-এর সবচেয়ে বরিষ্ঠ পরীক্ষার্থী হলেন। এর আগে হরিপাদের বাসিন্দা ৯৬ বছর বয়সী কার্থায়নী আম্মা-র দখলে ছিল এই রেকর্ড। তিনি কিন্তু পরীক্ষায় ১০০-তে ৯৮ পেয়েছিলেন। পরে কমনওয়েলথ-এর শুভেচ্ছাদূতও হন। এবার ভাগীরথী আম্মা  কত নম্বর পান সেটাই দেখার।

 

Share this article
click me!