সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই -এর হয়ে সওয়াল করেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সিবিআই-এর । আর সেই কারণে দ্বিতীয়বার যাচাইয়ের জন্য এমসে পাঠাতে চায়।
ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ নিয়ে অভিযোগ
সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে। তদন্তকারীদের দাবা কারা নমুনা সংগ্রহ করেছে সেটাও একটি বড় বিষয়। এক্ষেত্রে সঠিক বিশেষজ্ঞকে ঘটনাস্থলে পাঠান হয়নি।
প্রথম পাঁচ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ
সিবিআই আদালতে দাবি করেছে কোনও অপরাধ হলে তার প্রথম পাঁচ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পাঁচ দিন পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পাঁচদিনে ক্রাইম সিনের চরিত্র বদল হয়েছে বলেও দাবি।
ফরেন্সিক রিপোর্টের তথ্য
সিবিআই-এর হতে আদালতে আইনজীবী বলেন, তাঁর হাতে ফরেন্সিক রিপোর্ট রয়েছে। রিপোর্টে বলা গয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টায় মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়।
নির্যাতিতা নগ্ন অবস্থায় ছিল
আইনজীবী দাবি করেন,মেয়েটির দেহ যখন উদ্ধার হয়ে য়থন তাঁর জিনস ও অন্তর্বাস খোলা ছিল। সেগুলি পাশে পড়েছিল। অর্ধনগ্ন শৎীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
নমুনা পরীক্ষা
কলকাতা পুলিশ প্রথম নমুনা সংগ্রহ করে। সেগুলি পাঠান হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সিএমএসএল বা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্, ল্যাবরেটরিতে। সেখানেই নমুনা পরীক্ষা হয়। কিন্তু সিবিআই সেই নমুনাগুলি দ্বিতীয়বার যাচাইয়ের জন্য এমস বা অন্য কোনও গবেষণাগারে পাঠাতে চায়।
লোকজনের প্রবেশ সেমিনার রুমে
সিবিআই-এর আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, লোকজন প্রবেশ করেছিলেন। নির্যাতিতা নগ্ন অবস্থায় ছিল। তাই কে নমুনা সংগ্রহ করেছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে প্রশ্ন
প্রধান বিচারপতি জানতে চান,আরজি করের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে প্রবেশ করতে এবং বার হতে দেখা গিয়েছিল। ফলত, ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ফুটেজ থাকার কথা। ওই ফুটেজ কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল?
সিসিটিভি
এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায় সিবিআই সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে কিনা। তার উত্তরে সিবিআই জানিয়েছে, ২৭ মিনিটের চারটে ক্লিপ তাদের দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের দাবি
আদালতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত সংক্রান্ত যা যা তথ্য তাদের কাছে ছিল সবই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর হাতে।