১৯ দলের বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন সনিয়া গান্ধী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হবেন কি, কী ইঙ্গিত দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী?
প্রত্যেককে দলীয় বাধ্যবাধকতার ঊর্ধ্বে উঠে ৈক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য েখন থেকেই করতে হবে বিস্তৃত পরিকল্পনা। শুক্রবার, ১৯টি বিরোধী দলের বৈঠকে েমনই আহ্বান জানালেন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী। েদিন তিনি বলেন, প্রত্যেকটি দলেরই নিজস্ব বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ই েটা েমন এক সময়, যখন দেশের স্বার্থে সেইসব বাধ্যবাধকতার ঊর্ধে ওঠা ছাড়া বিকল্প কোনও রাস্তা নেই।
কংগ্রেস সভাপতি মেনে নিয়েছেন ২০২৪ সালের নির্বাচন বিরাট বড় 'চ্যালেঞ্জ'। কিন্তু, তার মতে সেই 'চূড়ান্ত লক্ষ্যে'ও পৌছনো সম্ভব, যদি সকলে একসঙ্গে কাজ করা যায়। বিরোধী দলগুলিকে তিনি আরও বলেছেন েখন লক্ষ্য েকটাই হবে, স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল্যবোধ, দেশের সংবিধানের নীতি এবং বিধানগুলিতে বিশ্বাসী েক সরকার গঠন। আর তার জন্য েখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করতে হবে।
ের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, েবং দৃশ্যতই তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে আন্দোলনে যোগ না দেওয়া হলেও েদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া যোগ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং বামপন্থী নেতা েবং বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী সীতারাম ইয়েচুরিও।
আরও পড়ুন - আমরুল্লা সালে - 'চিরকালের গুপ্তচর' এখন নিজেই আফগান প্রেসিডেন্ট, পঞ্জশির প্রতিরোধের মুখ
আরও পড়ুন - তালিবানদের উৎখাতের স্বপ্ন দেখাচ্ছে 'পাঁচ সিংহে'র উপত্যকা - জড়ো হচ্ছে নর্দান অ্যালায়েন্স
আরও পড়ুুন- Afghanistan - 'পাকিস্তানের গ্রাস করার কিংবা তালিবানদের শাসনের পক্ষে অনেক বড় দেশ'
সম্প্রতি বিহার ও বাংলার নির্বাচনের পর বিজেপি বিরোধী দলগুলর নেতৃত্বে দেওয়ার ক্ষমতা কংগ্রেসের আর আছে কি না, তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী দসলগুলির মধ্যেই। বিশেষ করে বাংলার নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া আটকে যাওয়ার পর, শরদ পওয়ার থেকে শিবসেনা - অনেকেই সনিয়ার বদলে ইউপিে প্রধান হিসাবে মমতাকেই দেখতে চাইছেন, রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে েমনটাই কানাঘুসো শোনা যাচ্ছে। েরমধ্যে সনিয়া গান্ধীর এই বৈঠককে লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মোকাবিলা করার চেষ্টা হিসাবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশে, করে বাধ্যবাধকতার ঊর্ধ্বে ওঠার কথা বলে, আঞ্চলিক দলগুলিকে বড় বার্তা দিলেন সনিয়া, েমনটাই মনে করা হচ্ছে।