নয়ই অগাষ্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার বিহারের সব প্রধান দল বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছে। নীতীশ কুমার অবশ্য এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন নি। তবে জেডিইউ-এর অন্দরে তৎপরতা বেড়েছে। নীতি আয়োগের বৈঠকে তার অনুপস্থিতির কারণে জল্পনা তুঙ্গে ছিল। এটি ছিল টানা চতুর্থ কর্মসূচি যাতে নীতীশ কুমার অংশ নেননি।
বিহারে রাজনৈতিক চাপানউতোরে নজর গোটা দেশের। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পালাবদল নিয়ে জোরদার আলোচনা হচ্ছে। সোমবার কংগ্রেস এবং আরজেডির অবস্থানও এই জল্পনাকে আরও জোরদার করেছে। দুই দলই নীতীশ কুমারের সঙ্গে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। তবে নয়াদিল্লিতে জেডিইউ-র পুরোনো শরিক বিজেপের দফতরে শোরগোল। পরিস্থিতিত সামাল দিতে দলীয় নেতৃত্ব রবিশঙ্কর প্রসাদ ও শাহনওয়াজ হুসেনকে দিল্লিতে তলব করেছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বিহারের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে হাইকমান্ড উভয় নেতাকে ডেকেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রবীণ আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি সোমবার বলেছেন যে নীতীশ কুমার যদি বিজেপি ছেড়ে যান, তবে আমরা তার সঙ্গে যেতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন যে মঙ্গলবার বিজেপি এবং জেডিইউ-এর বিধায়কদের বৈঠক একটি ইঙ্গিত দেয় যে কিছু অস্বাভাবিক ঘটছে। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি না কী হচ্ছে। কিন্তু যে দলগুলির সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যা রয়েছে তারা তাদের বিধায়কদের একটি বৈঠক ডেকেছে। আর এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। শিবানন্দ তিওয়ারি আরও বলেন যে নীতীশ কুমার এনডিএ ত্যাগ করলে আমরা তাকে কাছে টেনে নিতে প্রস্তুত। আরজেডি বিহারে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই যুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাদের সঙ্গে আসেন, তাহলে দল তাকে স্বাগত জানাবে।
এর পাশাপাশি, কংগ্রেস বিধায়ক শাকিল আহমেদ খানও নীতীশ কুমারের বিবেক জাগ্রত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। নীতিশ কুমারের এই সিদ্ধান্তের প্রদেশ কংগ্রেস সমর্থন করছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা বিহারে নীতীশ কুমারকে সমর্থন করতে প্রস্তুত। নীতীশ কুমার একজন সর্বজনীন নেতা। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য আমাদের সর্বদা প্রচেষ্টা ছিল। আমরা চাই নীতীশ কুমার একত্রিত হন এবং ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারার দলগুলি বিজেপির বিরুদ্ধে একত্রিত হোক। এই ঐক্য খুব দরকার।
বিহারের রাজনীতিতে আগামী দুই দিন গুরুত্বপূর্ণ
নয়ই অগাষ্ট অর্থাৎ মঙ্গলবার বিহারের সব প্রধান দল বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছে। নীতীশ কুমার অবশ্য এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেন নি। তবে জেডিইউ-এর অন্দরে তৎপরতা বেড়েছে। নীতি আয়োগের বৈঠকে তার অনুপস্থিতির কারণে জল্পনা তুঙ্গে ছিল। এটি ছিল টানা চতুর্থ কর্মসূচি যাতে নীতীশ কুমার অংশ নেননি। ফলে জল্পনা হাওয়াতে ভাসছিলই। এদিকে, বিহারের রাজনীতির অন্দরমহলের খবর যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রবিবার ফোনে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই যেন জেডিইউ এবং বিজেপির মধ্যে ফাটল আরও দীর্ঘ হয়েছে।
পদ্ম ছেড়ে 'হাত' ধরছেন নীতিশ, বিহারের রাজনীতিতে পালাবদল ঘটিয়ে সনিয়াকে ফোন জেডিইউর
কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচারে নেহেরুর ছবি, সমালোচনার ঝড় গেরুয়া শিবিরে
প্রধানমন্ত্রীর মতো আপনিও আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রফাইল পিকচার বদলাতে চান? একনজরে দেখে নিন নিয়ম