'বিমানে মৃতদেহ রাখতে জায়গা বেশি লাগে', ইউক্রেনে ভারতীয় ছাত্র নবীন শেখরাপ্পার মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইস্যুতে বিজেপির বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
'বিমানে মৃতদেহ রাখতে জায়গা বেশি লাগে', ইউক্রেনে ভারতীয় ছাত্র নবীন শেখরাপ্পার (Naveen Shekharappa ) মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইস্যুতে বিজেপির বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। উল্লেখ্য, সদ্যই ইউক্রেনে (Russia Ukraine War) রাশিয়ার মিসাইল হামলায় বাইশ বছরের মেধাবী ভারতীয় ছাত্র নিহত হয়েছেন। কেরালার বাসিন্দা ওই নিহত ছাত্রের নাম নবীন শেখরাপ্পা। তার মৃত্যুর খবর ভারতে পৌছতেই শোকস্তব্ধ সারা দেশ। এহেন মুহূর্তে কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দের 9BJP Karnataka MLA Arvind Bellades) এমন মন্তব্যে উত্তাল সারা দেশ।
কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ বেল্লাদ বলেছেন, 'বিমানে মৃতদেহ রাখতে জায়গা বেশি লাগে। একটি বিমানে একটি কফিন প্রায় আট থেকে ১০ জনের জায়গা দখল করে থাকে।' মূলত সদ্যই ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় বাইশ বছরের মেধাবী ভারতীয় ছাত্র নিহত হয়েছেন। কেরালার বাসিন্দা ওই নিহত ছাত্রের নাম নবীন শেখরাপ্পা। নবীনের মৃতদেহ কবে দেশে ফেরানো হবে, এই অনিশ্চিয়তার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ। ওই বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, কেন্দ্রের মোদী সরকার নবীনের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা সবাই জানেন যে ইউক্রেন একটি যুদ্ধক্ষেত্র, তাই সম্ভব হলে দেহ ফিরিয়ে আনা হবে বলে সাংবাদিকদের বার্তা দেন তিনি। এরপরেই তিনি বলেন, যদিও যারা জীবিত তাঁদেকে ফিরিয়ে আনাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। আর মৃতদেহ ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনাতো আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ একটি মৃতদেহ বিমানের ভিতরে বেশ খানিকটা জায়গা দখল করে থাকে। যেই জায়গায় অনায়াসে আট থেকে দশ জন যাত্রীকে রাখা যেতে পারে। '
আরও পড়ুন, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে গুলিবিদ্ধ আরও ১ ভারতীয় ছাত্র, কিয়েভের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
প্রসঙ্গত,সদ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় প্রাণ গিয়েছে ভারতীয় ছাত্রের। খারকিভে টানা শেলিং ও মিসাইল হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া । এই পরিস্থিতিতে খারকিভে উপস্থিত এক ভারতীয় ছাত্রের মিসাইলের আঘাতে মৃত্যু হয়।গোটা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর ওই ছাত্রের নাম নবীন শেখরাপ্পা। তিনি খারকিভ জাতীয় মেডিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস পড়ছিলেন। ২২ বছর বয়েসী নবীনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু। তিনি স্টুডেন্ট কন্ট্রাক্টটর ছিলেন ।জানা গিয়েছে, তাঁরা কিছু জিনিস কিনতে দোকানে গিয়েছিলেন। তখনই রাশিয়ান সেনা মিসাইল হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নবীনের। নবীন শেখরাপ্পার বাবা বলেন, মোদী সরকার তাঁকে আশ্বস্থ করেছেন দুই দিনের মধ্যেই তার ছেলের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নবীনের দেহ নিজের বাড়িতে আনার অনুরোধও জানিয়েছেন। এই অবধি সব ঠিকই ছিল, কিন্তু কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দের মন্তব্যে শেষঅবধি তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠেছে।