কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট নির্বাচনী হলফনামায় স্ত্রীর বিবরণের জায়গায় জানিয়েছেন তিনি বিবাহবিচ্ছিন্ন। অর্থাৎ তালাকপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি। ৪৬ বছরের শচীন পাইলট এর আগে তাঁর পরিবারের কোনও কথা প্রকাশ করেননি।
অবাককাণ্ড রাজস্থানে। প্রায় দুই দশক পরে ঘর ভেঙেছে কংগ্রেস নেতার। যদিও সেটা এতদিন গোপনই ছিল। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই তা প্রকাশ্যে আসে। রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইল ও সারা আবদুল্লাহ বিয়ের দুই দশক পরে পৃথক হয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচনী হলফনামা দাখিলের পরই প্রকাশ্যে আসে।
কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট নির্বাচনী হলফনামায় স্ত্রীর বিবরণের জায়গায় জানিয়েছেন তিনি বিবাহবিচ্ছিন্ন। অর্থাৎ তালাকপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি। ৪৬ বছরের শচীন পাইলট এর আগে তাঁর পরিবারের কোনও কথা প্রকাশ করেননি। তিনি যে ডিভোর্সি তাও ঘুনাক্ষরেও জানতে দেননি। তবে কি কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে তা এখনও অজানাই রয়েছে। এই বিষয়ে শচীন বা সারা কেউই কোনও কথা জানানিন।
২০০৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ মেয়ে ও ওমর আবদুল্লাহর বোন সারাকে বিয়ে করেন শচীন পাইলট। যদিও তাঁদের মধ্যে প্রমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘ দিনের। বিয়ে নিয়েও কিছু সমস্যা হয়েছিল। যাইহোক তারপর তাঁদের বিবাহিত জীবন রাজস্থানের মানুষে কাছে আদর্শ দম্পতির উদাহরণ হয়ে উঠেছিল। আরান ও বিহান নামে তাদের দুই ছেলেও রয়েছে। শচীন পাইল জানিয়েছেন তাঁর দুই ছেলে তাঁর ওপর নির্ভরশীল।
নির্বাচনী হলফনামায় শচীন পাইলট গত পাঁচ বছরে তাঁর সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছেন। ২০১৮ সালে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩.৮ কোটি টাকা। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদ ৭.৫ কোটি টাকা। গতবারের মত এবারও শচীন পাইলট টঙ্ক বিধানসভা থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়ন দাখিলের আগে ভূতেশ্বর মহাদেশ মন্দিরে পুজো দেন শচীন পাইলট। একটি বিশাল মিছিলও করেন তিনি। গতবার এই কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন শচীন পাইলট। ২০০ সদস্যের রাজস্থান বিধানসভায় আগামী ২৫ নভেম্বর ভোট গ্রহণ। ফল প্রকাশ ৩ ডিসেম্বর।