সাধ্বী প্রাচী বলেন কোনও ভাবেই কোনও দম্পতির, বিশেষ করে মুসলিমদের দুটির বেশি সন্তান যেন না হয়।
বোমা ফাটালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য সাধ্বী প্রাচী। তাঁর দাবি দেশের মুসলমানরা যত খুশি বিয়ে করুন, একাধিক স্ত্রী থাকুক তাঁদের। কিন্তু দুটির বেশি সন্তান যেন তাঁরা নিতে না পারেন। এরকমই আইন দেশে প্রয়োগ করা উচিত বলে মত তাঁর। তিনি বলেন নির্দিষ্ট এক সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যই দেশের জনসংখ্যা এই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নিয়ম দ্রুত বন্ধ করা উচিত। সংসদে আইন করে এই প্রথা তুলে দেওয়া উচিত সরকারের। কোনও ভাবেই কোনও দম্পতির, বিশেষ করে মুসলিমদের দুটির বেশি সন্তান যেন না হয়।
তাঁর আরও দাবি যেসব ব্যক্তির দুটির বেশি সন্তান রয়েছে, তাঁদের ভোটাধিকার তুলে নেওয়া উচিত। তবেই দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এরই সাথে লাভ জিহাদ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য হিন্দু পরিবারের মেয়েদের রক্ষা করার জন্য কঠোর আইন আনতে হবে, যাতে কোনওভাবেই অন্য সম্প্রদায়ে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে না হয়।
এরই সঙ্গে সাধ্বী প্রাচী এদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতের বার্তা পুরোপুরি নস্যাৎ করেন। তাঁর দাবি যাঁরা গোমাংস খান, তাঁদের সঙ্গে দেশের হিন্দুদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁদের সঙ্গে দেশের হিন্দুদের ডিএনএ মিলতে পারে না। কোনও হিন্দুর শরীরে গোমাংস খাওয়া মানুষদের ডিএনএ নেই বলেই দাবি প্রাচীর।
এই বিতর্কিত নেত্রী আগেও একাধিক বার উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। এদিন তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিত ছিল আরএসএস প্রধান ভাগবতের মন্তব্য। ভাগবত বলেন ভারতীয়রা যে ধর্মের মানুষই হোক না কেন তাঁদের ডিএনএ (DNA) এক। তিনি বলেন এদেশে মুসলিমরা বিপদে নেই। তবে ঐক্যের জন্য আরও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মোহন ভাগবত জানান এখন এটি প্রমাণিত যে প্রায় ৪০ হাজার বছর ধরে ভারতীয়রা একই পূর্বপুরুষের বংশধর। ভারতীয় মানুষের ধর্ম একই রকম। হিন্দু আর মুসলিম দুটি আলাদা দল কখনই নয়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কোনও হিন্দু যদি বলেন এখানে কোনও মুসলমান বাস করতে পারবে না, তবে সেই ব্যক্তি হিন্দু নন। কথা প্রসঙ্গে তিনি গরুর প্রসঙ্গও তুলে আনেন, তিনি বলেন গরু পবিত্র প্রাণী। যাঁরা গোহত্যা করেন তাঁরা হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। আইনের মাধ্যমে সকলের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করা উচিৎ। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এদিন আরও একটি বিতর্কিত প্রসঙ্গ তুলে আনলেন সাধ্বী প্রাচী।